সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সেতু বিভাগের সচিব হলেন ফাহিমুল ইসলাম ইসরায়েলি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ প্রথম মাসের বেতন ত্রাণ তহবিলে দিলেন আসিফ মাহমুদ ধামরাইয়ে ৯ দাবিতে আকিজ ফুড শ্রমিকদের বিক্ষোভ নারায়ণগঞ্জে বাজারে আগুন, ৩০ দোকান পুড়ে ছাই পদ্মার চরে পানি, হতাশ চাষিরা এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান গ্রেফতার সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা আজ থেকে শুরু হচ্ছে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ব্রাজিলের ‘হেক্সা’ দিল্লির সুপারশপে দেখা মিললো সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুলের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ৭৩৫ জনের খসড়া তালিকা প্রকাশ শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি শিশুর বিকাশের অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে সমাধানে বদ্ধপরিকর সরকার ৭ অক্টোবর বিশ্ব বসতি দিবসে সরকারের নানা কর্মসূচি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও প্রায় অর্ধশত ফিলিস্তিনি প্রধান উপদেষ্টা নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব ভারতে পালানোর সময় সাবেক ভূমিমন্ত্রী আটক শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সৌভাগ্যের প্রতীক শেখ হাসিনা

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জার্মানিতে জিনিস পত্রের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েই চলেছে। এখানে কয়েকদিন যাবত তেল, আটা, ময়দা সহ কয়েকটি পণ্য একেবারেই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। জার্মান সরকার জনগণকে সতর্ক করে দিয়েছে তেল,গ্যাস ও খাদ্য শঙ্কট আগামীতে আরও বাড়তে পারে। তারপরও কোনো রাজনৈতিক দল বা বামপন্থিরা আন্দোলনের বা হরতালের ডাক দিচ্ছে না। লক্ষ লক্ষ মানুষ যুদ্ধ বন্ধের জন্য সমাবেশ করলেও দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে জার্মানির জনগণ বা  রাজনৈতিক দল কোন আন্দোলন নামছে না। কারণ জনগণ ভালো করেই জানে এই মূল্য বৃদ্ধির জন্য রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধই দায়ী, সরকার নয়।

বিশ্বে এই সংকটময় সময় জার্মানের জনগণ সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে অধিকাংশ জার্মানিরা মনে করে বর্তমান সংকট সমাধানে সবচেয়ে ভাল নেতা অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল । জার্মানিতে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল। তারপরও তার দল (বর্তমান বিরোধী দল)সরকারে বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন করছে না বরং  সরকারে সর্ব প্রকার সহযোগিতা করে সংকট সমাধানের চেষ্টা করছে।

বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণে , বাংলাদেশেও তার প্রভাব পরেছে । বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের সৌভাগ্য বাজারে এখনো সকল জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে । জার্মানের মত বাজারে গিয়ে খালি হাতে ফেরত আসতে হচ্ছেনা। জার্মান সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে তেমন কোন পদক্ষেপ এখনো নিতে পারে নি। 

তবে আলোচনা চলছে , প্রতি পরিবারকে এককালীন ৩০০ ইউরো। পরিবারের প্রতি সন্তানকে এককালীন ১০০ ইউরো। পাবলিক যানবাহনে চলাচলের জন্য (প্রথমে শুধু  ৩ মাসের জন্য) মাসিক ভাড়া  ৯ ইউরো (বর্তমানে ৭০ ইউরো) আগামী জুন মাস থেকে কার্যকর হতে পারে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কমদামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে ১ কোটি পরিবারকে বিশেষ কার্ড দিয়েছেন।

ভোজ্য তেলের VAT কমিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি  কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন। ভোজ্য তেলের বিষয়ে দেশ এখন শতকরা ৯০ ভাগ আমদানিনির্ভর। তবে এরই মধ্যে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা সরিষার কয়েকটি বীজ আবিষ্কার করেছেন, যার ভালো উৎপাদন হবে। আগামী কয়েক বছরে পেঁয়াজ বাইরে থেকে আনতে হবে না,  এ ব্যাপারেও বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। সরকারের হিসাব অনুযায়ী যথেষ্ট খাদ্য (১৮ লাখ টন) মজুদ আছে বাংলাদেশে।

একাধারে ১৩ বছরে রাষ্ট্র পরিচালনায়  শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন। শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ এখন উন্নত বিশ্বের তালিকায় নাম লেখানোর স্বপ্নময় পথ অতিক্রম করছে । জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর বাংলাদেশ যখন উল্টোপথে চলছিল ওই সময় ১৯৮১ সালের ১৭ই মে বৃষ্টিস্নাত বিকেলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে শুরু হয়েছিল আদর্শহীন শাসনের বিরুদ্ধে এক নিরন্তর সংগ্রাম । আজ ৪১ বছর সংগ্রামে তিনি অনেকটাই সফল। আজ তিনি বাংলাদেশের মানুষের সৌভাগ্যের প্রতীক হয়ে আছেন । জাতির পিতার অনুপস্থিতিতে তিনিই আজ বাংলাদেশ । 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের মহামারীতে সৃষ্ট নজিরবিহীন সংকট ভয়াবহতা সফলভাবে মোকাবিলা করে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখে উন্নত দেশগুলোর ভ্যাকসিন যুদ্ধের মধ্যেই বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও প্রয়োগ তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কেবল দেশের মধ্যেই উদ্যোগ নিয়ে থেমে থাকেননি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক উদ্যোগ নিয়েও তিনি প্রশংসিত হয়েছেন।

স্বাধীনতার আগে ও পরে বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক ধীশক্তি ও দূরদর্শিতার যোগ্য উত্তরাধিকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। শান্তিপূর্ণভাবে বিবাদ মীমাংসা, আঞ্চলিক সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের নেতৃত্ব প্রদান, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে আশ্রয় প্রদান- এ বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে প্রশংসা কুড়াচ্ছে বিশ্বনেতাদের।

একের পর এক অসম্ভবকে সম্ভব করে চলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। এক সময়কার তলাবিহীন ঝুড়ি বলে পরিচিত বাংলাদেশকে আজ তিনি রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিত করেছেন। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ১০০ ভাগ বিদ্যুতের দেশ বাংলাদেশ। বিদ্যুতের আলয় আলোকিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর।

জাতির পিতার গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পের গৃহহীনদের জন্য ঘর দেওয়া এই প্রকল্পের বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ ছিন্নমূল পরিবারকে জমিসহ বাড়ি করে দিয়েছেন । আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের উপার্জনের জন্য নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ব্যবস্থা । তাছাড়া বয়স্ক – বিধবা -প্রতিবন্ধী ও অসহায়দের ঘরে পৌছে যাচ্ছে সরকারী ভাতা।

এই বছরেই শেষ হবে কিছু মেগা প্রজেক্টের বাস্তবায়ন। স্বপ্নের পদ্মা  সেতু, মেট্রোরেল(আংশিক) কর্ণফুলী টানেল।। এই বছরই বিশ্ব অন্য এক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে অবলোকন করবে। 

আমার কাছে শেখ হাসিনাকে জার্মানির সৌভাগ্যের প্রতীক অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের মতো মনে হয়। তিনি ১৭ বছর জার্মানির চ্যান্সেলর ছিলেন । ১৭ বছরে জার্মানিকে তিনি পাল্টে দিয়েছেন । ২০০৮ সাল থেকে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার ঝড়ে যখন ইউরোপসহ সারা বিশ্বে অনেক দেশের বেসামাল অবস্থা, তখন মুক্তবাজার অর্থনীতিকে সুকৌশলে সুনিয়ন্ত্রিত করেন।

শুধু অর্থনৈতিক সংস্কার নয়, তাঁর শাসনামলে নানা সামাজিক সংস্কার তাঁর ভাবমূর্তি বাড়াতে সাহায্য করেছে।শুধুই কি অর্থনীতি। ধর্মীয় সম্প্রীতিতেও তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। ইসলামের সাথে, মুসলমানের সাথে জার্মানের কোনো বিরোধ নেই। প্রায় ১ মিলিয়ন সিরিয়ান, ইয়েমেন সহ অন্যান্য রিফিউজিদের জন্য বর্ডার খুলে দিয়েছেন। তীব্র সমালোচনার মুখে রিফিউজিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। 

বাংলাদেশের মানুষের সৌভাগ্যের প্রতীক শেখ হাসিনা ১৮ বছরে বাংলাদেশের ভাগ্য বদলে দিয়েছেন। পার্থক্য হলো, জার্মানির বিরোধীদল অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলকে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সর্বাত্মক  সহযোগিতা করেছে । অন্যদিকে বিশ্বের অন্যতম জনবহুল একটি দেশের ভাগ্য শেখ হাসিনা বদলেছেন প্রবল দেশ বিরোধী প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করে নড়বড়ে অর্থনীতিকে দাঁড় করিয়েছেন শক্ত ভিত্তির উপর।। শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করার মাধ্যমে  পরনির্ভরশীল বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে পরিচিতি করেছেন অর্থনৈতিক সক্ষমতার দেশ হিসাবে। 

বাংলাদেশ এখনও বিশ্বের ৩১তম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। শেখ হাসিনা আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার তার মহান পিতা আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে শুনিয়েছিলেন শিকল ভাঙার গান, দেখিয়েছিলেন শোষন ও বৈষম্য মুক্তির পথ।  তার মহান পিতার কালজয়ী নেতৃত্বে সুজলা সুফলা শস্য শ্যমলা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর  অবহেলিত, শোষিত বাংলাদেশ পাকিস্তানি শোষনের নাগপাশ থেকে মুক্তি পেয়েছিল। আজ শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে দ্রুত এগুচ্ছে বাংলাদেশ।

লেখক: সাবেক সভাপতি বার্লিন আওয়ামী লীগ।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com