বাংলাদেশে দশটি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন সময়মতো উৎপাদনে আসতে না পারায় প্রকল্পগুলো বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যে দশটি বিদ্যুৎ প্রকল্প বাদ দেয়া হয়েছে তার মধ্যে পাঁচটির উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১২শ মেগাওয়াটের বেশি।
বিদ্যুতের বিষয়ে ২০১০ সালে নেয়া মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে প্রতি ৫ বছর পর পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয় বলে সরকার জানাচ্ছে।
সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন সময়মতো কাজ শেষ না করতে পারায় প্লান্টগুলো বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাতিল করা প্রকল্পগুলো হলো- পটুয়াখালী ৬৬০x২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্লান্ট, উত্তরবঙ্গ ১২০০ মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট, মাওয়া ৫২২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্লান্ট, ঢাকা ২৮২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র, চট্টগ্রাম ২৮২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্লান্ট, খুলনা ৫৬৫ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহেশখালী ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্লান্ট, মহেশখালী ১৩২০ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ৭০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার কোল পাওয়ার প্লান্ট এবং সিপিজিসিবিএল ১২০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট।
বাংলাদেশে এখনো ৫টি কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ-প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে সুন্দরবনের কাছে রামপাল বিদ্যুৎ-কেন্দ্র নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে।
পরিবেশের কথা বিবেচনা করা এবং বিকল্প শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দাবি জানিয়ে আসছেন পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনকারী।
কয়লা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে সরকারের ওই পরিকল্পনা সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছিল বিভিন্ন সংগঠন।
বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোরও পরামর্শ ছিল তাদের।
গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক অনেক দাতা সংস্থাও এ বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
জ্বালানী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম বলছেন প্রকল্পগুলো সময়মত উৎপাদন শুরু করতে না পারার পিছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে।
তিনি বলেন “অর্থায়ন একটা বড় কারণ। এছাড়া আমদানি অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার দীর্ঘদিন ধরে একটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে”।
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র:বিবিসি বাংলা