বাংলা৭১নি্উজ, ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির পর হ্যাকাররা অন্যান্য আরও ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরি করেছে।
ব্যাংকিং লেনদেনে কঠোরতা বাড়ানো হলেও নতুন কৌশলে এসব অর্থচুরি করেছে হ্যাকাররা। এমন খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দি সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক টেলিকমিউনিকেশন-সুইফট’র এক কর্মকর্তার দেয়া তেথ্যের ভিত্তিতে এমন খবর জানালো রয়টার্স।
ওই সুইফট কর্মকর্তার এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও পেয়েছে রয়টার্স। গত ২ নভেম্বর ওই চিঠি হাতে পায় বার্তা সংস্থাটি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, লেনদেন ব্যবস্থার বিভিন্ন হুমকি নিয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে থাকে মেসেজিং নেটওয়ার্ক সুইফট। তবে মেসেজিংয়ে কিছুটা ঘাটতিও রয়েছে বলে স্বীকার করেছে সুইফট।
চিঠিতে আরও বলা হয়, হ্যাকাররা অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে আরও সাইবার হামলা করে অর্থচুরি করে যাচ্ছে। এসব হামলা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, নেটওয়ার্কিং সাইট সুইফটের মেসেজিং ব্যবস্থার মাধ্যমে নিদের্শপত্র পাঠিয়ে প্রতিদিন শত শত কোটি অর্থ লেনদেন করে থাকে বিশ্বের শীর্ষ ব্যাংকগুলো। এজন্য প্রত্যেকটি সদস্যকে গোপন পিন নম্বর দিয়ে থাকে সুইফট।
তবে তাদের এই পদ্ধতি হ্যাক করে ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের কতগুলো ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে সরিয়ে নেয়া হয়।
সুইফটের মাধ্যমে পরিশোধের ভুয়া নির্দেশপত্র পাঠিয়ে ওই অর্থ চুরি করে হ্যাকাররা। শ্রীলংকার দুটি ব্যাংক থেকেও এভাবে অর্থচুরির চেষ্টা করে হ্যাকাররা। পরে হ্যাকাররা ধরা পড়ে যায়।
সুইফট বলছে, গত কয়েক মাসে আরও অনেকবার হ্যাকিংয়ের চেষ্টা চালানো হয়েছে এবং অর্থও চুরি করেছে অজ্ঞাত হ্যাকাররা।
সুইফটের কাস্টমার সিকিউরিটি প্রোগ্রামের প্রধান স্টিফেন জিলডারদেল রয়টার্সকে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থচুরির পর আরও ৫ বার অর্থচুরি করেছে হ্যাকার গ্রুপ। তবে হামলা হয়েছে অনেকবার।
এ অবস্থায় ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা আরও বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন তিনি।
বাংলা৭১নি্উজ/এম