ছাত্র-জনতার গণবিস্ফোরণের মুখে সোমবার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দলীয় বৈঠক ডাকেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
এবার জানা গেছে, বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া বৈঠকে যোগদান করেন বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধী। বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অংশ বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিফ করেন।
বৈঠক শেষে সামাজিকমাধ্যম এক্সে জয়শঙ্কর লিখেন, ‘আমি আজ (মঙ্গলবার) সংসদে সর্বদলীয় বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের বিষয়ে অবহিত করেছি। আমি রাজনৈতিকদলগুলোর সমর্থন এবং চলমান পরিস্থিতি অনুধাবন করায় প্রশংসা করি’।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগের দ্বিতীয় দিন সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা । পদত্যাগের পর দুপুরে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
দিল্লি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে অবতরণের পর গতকাল সন্ধ্যায় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে দেখা করেছেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে হাসিনার গন্তব্য কোথায় তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বাংলা৭১নিউজ/আরএম