২১ ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে’ সব ভাষা শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করেন তিনি।
এর ক্যাপশনে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ দিবস থেকে ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি কীভাবে পেল তার বর্ণনা তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ লেখেন, ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় এবং এতে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে বাংলা সংস্কৃতি-শিল্প-সাহিত্যের ওপর আঘাত করে পশ্চিম পাকিস্তানি শোষকরা। এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয় বাংলার তরুণ সমাজ, নেতৃত্বে শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবের দিকনির্দেশনায় এগিয়ে চলে ভাষা আন্দোলন; এর জন্য বারবার জেলে যেতে হয় তাকে। শত বাধার মুখেও বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেন শেখ মুজিবুর রহমান। এই আন্দোলনের পথ ধরেই শুরু হয় আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, আসে স্বাধীনতা। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা ভাষাকে এনে দেন অনন্য সম্মান। সারা পৃথিবীতে সকল ভাষার মানুষের কাছে ২১ ফেব্রুয়ারি এখন একটি বিশেষ দিন।
যাদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি প্রাণের ভাষা – মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, যোগ করেন তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/আরএম