বাংলা৭১নিউজ,(বরিশাল)প্রতিনিধি: বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় ৩৯ দোকান আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। এ সময় আগুন নেভাতে গিয়ে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ২৫টি দোকান সম্পূর্ণ ও ১৪টি দোকান আংশিক পুড়ে প্রায় সোয়া কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান।
এদিকে এ অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে ও গৌরনদী-পয়সারহাট আঞ্চলিক সড়কে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
গৌরনদী ফায়ার স্টেশনের সাব-অফিসার আবদুস ছালাম জানান, রোববার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের নিজাম সরদারের চায়ের দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ২০-২৫ ফুট উচ্চতায় উঠে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে গৌরনদী, উজিরপুর, বাবুগঞ্জ, বরিশাল দক্ষিণ ফায়ার স্টেশনের চারটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার কর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এরই মধ্যে অগ্নিকাণ্ডে মেসার্স সোহেল টেডার্স, শহিদুল স্টোর, সরদার ইলেকট্রিক, স্বাধীন স্টোর, হাবিব স্টোর, জাহিদ স্টোর, জালাল স্টোর, আরিফ স্টোর, সারদিয়া টেলিকম, কমলেশ স্টুডিও, জয়গুরু মিস্টান্ন ভাণ্ডার, জাকির ডিজিটাল প্রেসের শোরুম, ফিরোজ মেকার, মনোহেয়ার কার্টিং, বি আলম স্টোর, নান্নু হোটেল, গৌরনদী অটোটেম্পো-মাহিদ্রা শ্রমিক কার্যালয়, নিজামের চায়ের দোকানসহ ২৫টি দোকান সম্পূর্ণ ও আকিব ইলেকট্রিক, মনির মেকার, আমার ফোন কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, মাস্টার ইলেকট্রিক, ফরিদ মিয়ার গোডাউনসহ ১৪টি দোকান আংশিক ভস্মীভূত হয়েছে।
আগুন নেভাতে গিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী বিএম বেল্লাল, সঞ্জয় কুমার পাল, সোহেল শিকাদর, আরিফ হোসেন, মো. খলিল আহত হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গৌরনদী ফায়ার স্টেশনের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে স্টেশনের পাম্পটি বিকল হয়ে পড়ে। এর দেড় ঘণ্টা পর উজিরপুর, বাবুগঞ্জ, বরিশাল থেকে ৩টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে চেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ফায়ার স্টেশনে পাম্প নষ্ট হওয়ায় ও অন্য ৩টি গাড়ি দেরিতে আসায় বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
বাংলা৭১নিউজ\আরপি