বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ কাউন্সিলর- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নগরীর টাউন হল এ কর্মসূচি পালিত হয়। মামলা প্রত্যাহার না হলে নগরীর ময়লা-আবর্জনা (বর্জ্য) পরিষ্কার করবেন না বলে মানববন্ধনে অংশ নেয়া বিসিসির পরিচ্ছন্নকর্মীরা ঘোষণা দেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে নগরীর বর্জ্য অপসারণ ও পরিবহন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন বিসিসির পরিচ্ছন্নকর্মীরা। এতে কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সেবা না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল হাজবুন, কর শাখার কর্মকর্তা বেলায়েত বাবলু, পরিচ্ছন্ন বিভাগের পরিদর্শক মো. মাসুম, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, সহকারী পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজা ও শফিকুল আজম বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বিসিসির পরিচ্ছন্ন শাখার সহকারী কর্মকর্তা রেজাউল করীম রেজা ও শফিকুল আজম বলেন, মামলার কারণে পরিচ্ছন্নকর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন। এসব কারণে তারা পরিচ্ছন্ন কাজ থেকে বিরত রয়েছেন। মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না হলে পরিচ্ছন্নকর্মীরা কাজে যোগ দেবেন না
সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার দুপুরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ও ছাত্রলীগ নেতা আহমেদ সিফাতসহ কয়েকজন বক্তব্য রাখেন।
নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি শাহ্ সাজেদা বলেন, নগরীর বিভিন্ন এলাকার সড়কের পাশে বর্জ্যের স্তূপ দেখা গেছে। গত দুদিন ময়লা অপসারণ না করায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে করে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা রয়েছে।
গত বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণকে কেন্দ্র করে বরিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসায় কয়েক দফায় হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আনসার সদস্যরা। হামলার ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়। দুটিতেই বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মীকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএফ