রংপুরে শিকার করা নিষিদ্ধ বন্য পাখির মাংস বিক্রির দায়ে এক হোটেল মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর ডুগডুগির বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাত।
জানা গেছে, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ডুগডুগির বাজার এলাকায় মহব্বত আলী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনাকালে শিকার ও বিক্রি নিষিদ্ধ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ১৯ কেজি মাংস এবং দুটি জীবন্ত কাছিম জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ৮ কেজি ডাহুক, ৯ কেজি ছোট বক, ২ কেজি ছোট পানকৌড়ির মাংস ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্ত মহব্বত হোসেন গত ১৫ বছর ধরে রাতচড়া, পানকৌড়ি, বিভিন্ন প্রজাতির বালিহাঁস, পাতিসরালি, কোড়া, ডাহুক, হড়িয়াল, ঘুঘু, তিতির, সারস, বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বিক্রি করে আসছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। শিকার করা নিষিদ্ধ বন্য পাখির মাংস বিক্রির দায়ে মহব্বত হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী মহব্বত হোসেনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে অভিযান পরিচালনার সময় বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ ও মো. খাইরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গির কবির বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহব্বতের হোটেলে অভিযান চালানো হয়। পাখি প্রকৃতির আইন অনুযায়ী এদের ধরা, হত্যা করা, মাংস খাওয়া, বাসায় পোষা, দখলে রাখা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অন্যদিকে পরিবেশ আন্দোলনকারী ও শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, প্রকৃতি সুরক্ষায় শিকার নিষিদ্ধ পাখি শিকার করা, বিক্রি করা সবই আইনগতভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই অপরাধ দমনে প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ লোকজনদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রিভারাইন পিপলের পরিচালক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ রংপুর জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের ঢাকাস্থ, রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে পাখির মাংস বিক্রি বন্ধের লিখিত আবেদন করেন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ