সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

বছরে ৫ লাখ টাকার বরই বিক্রি করেন জুলফিকার

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের খাগা গ্রামের জুলফিকার আলী শিক্ষকতার পাশাপাশি সাড়ে ৭ বিঘা জমিতে আপেল কুল জাতের বরই চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি বরইয়ের কাশ্মীরি জাতের আপেল কুল চাষে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন।

জানা যায়, খাগা গ্রামের জুলফিকার আলী ২০০৯ সাল থেকে আপেল কুল চাষ করে আসছেন। সাড়ে ৭ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে তিনি এই কুল বরই চাষ করছেন। ২০০৯ সালে ১০০ চারা দিয়ে শুরু করেন।

আজ তার বাগানে ২৫০টি গাছ রয়েছে। প্রতিবছর এই গাছগুলোর পরিচর্যা ও জমির খরচ হয় প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আর প্রতি বছর ফল বিক্রি করেন ৫ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। জুলফিকার আলী কাজীপুর উপজেলার বীর শুভগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি বর্তমানে তিনি একজন সফল কুল চাষি।

 

স্থানীয়রা জানান, শিক্ষক জুলফিকার আলীর কুল চাষ দেখে এলাকার লোকজন উৎসাহিত হচ্ছেন। অনেকেই কুল চাষে এগিয়ে আসছেন। অনেকেই তাকে দেখে কুল চাষ শুরু করেছেন। যে কেউ তার কাছ থেকে সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারে।

কুল চাষি জুলফিকার আলী বলেন, ২০০৯ সালে ৬৫ হাজার টাকায় সাড়ে ৭ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে কুল চাষ করে আসছি। প্রতি বছর জমির ভাড়া ও বাগান পরিচর্যায় প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। প্রথম দুই বছর খুব একটা লাভ করতে পারিনি। কারণ প্রথম অবস্থায় বুঝতে পারিনি। আস্তে আস্তে এখন সব ঠিক হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি গাছে ২০ থেকে ২২ কেজি আপেল কুল ধরেছে। প্রতিকেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি করছি। দামটাও বেশ ভালো পাচ্ছি। কুল দেখতে সুন্দর আবার খেতেও খুব মিষ্টি হয়েছে। বাগান থেকে কুল সরাসরি পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুস্তম আলী জানান, সিরাজগঞ্জ সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় উন্নত জাতের আপেল কুলের চাষ হচ্ছে। জুলফিকার আলী এখন অভিজ্ঞ কুল চাষি। তিনি আপেল কুল চাষে সফলতা পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাকে দেখে আরো মানুষ এই কাজে উৎসাহিত হবে বলে আশা করছেন এই কর্মকর্তা।

বাংলা৭১নিউজ/এমকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com