মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী মারা গেছেন শ্রমিকদের দাবি মেনে নিলো মালিকপক্ষ, বুধবার থেকে খোলা সব গার্মেন্টস স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একমত বাংলাদেশ-ভারত অন্তর্বর্তী সরকারে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস বাইডেনের দুদকের জালে সাবেক দুই এমপি ইকবাল ও জহির ঢাকায় একদিনে ৭৭৬ মামলা, জরিমানা ৩৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের আহ্বান শিল্প উপদেষ্টার গ্রামীণফোনের শেয়ারহোল্ডারদের অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ প্রেরণ দুই মামলায় খালাস পেলেন জামায়াতের সেক্রেটারিসহ ৪৯ জন আনোয়ারায় হাতির আক্রমণে নারীসহ নিহত ২ ইসলামিক ফাউন্ডেশনে নতুন ডিজি’র যোগদান সচেতন হলে ডেঙ্গু সংক্রমণ হ্রাস পাবে: হাসান আরিফ টাঙ্গাইলে টয়লেটের কুয়ায় মিলল বৃদ্ধের মরদেহ, ছেলে আটক ৮ মাসে ধর্ষণের শিকার ২২৪ কন্যাশিশু গয়েশ্বর-রিজভীসহ বিএনপির ১০২ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্যা আতঙ্ক, ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি নাট্য নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু আটক অপহরণের ৭০ বছর পর পরিবার ফিরে পেলেন তিনি যৌথ অভিযানে ফেনীতে দুই যুবদল কর্মী গ্রেফতার শেয়ার কারসাজির অভিযোগে সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা

বগুড়ায় ৩৮ গোডাউনের ওষুধ পুড়ে ছাই

বগুড়া প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ায় ওষুধ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ৩৮টি গোডাউন ও মার্কেটের লিফট পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে শহরের সাতমাথার মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ছয় তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নয়টি ইউনিট একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ওষুধ ব্যবসায়ী মালিক সমিতি জানায়, মার্কেটের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় ওষুধের দোকান। আর ষষ্ঠ তলা ওষুধের গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করতেন ব্যবসায়ীরা। এখানে মোট ৪০টি গোডাউন আছে। এরমধ্যে সাইদুর রহমানের অভি মেডিসিন সবচেয়ে বড় গোডাউন। সেখানে আগুন লাগে। পরে আগুন ষষ্ঠতলার অন্যান্য গোডাউনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে অভি মেডিসিনের পাশে থাকা পলক মেডিসিন, হিরা ফার্মেসি, রফিক মেডিকেল, এসএম ফার্মেসি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ব্যবসায়ীরা জানান, সম্ভবত সিগারেটের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। মার্কেটে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু আগুনের কারণে ছয় তলায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেন।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, আগুনের ভয়াবহতা কম ছিল। তবে ধোঁয়ার পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। এছাড়াও মার্কেটে সিঁড়ি রয়েছে একটি। ফলে চলাচলেও সমস্যা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর এয়ার ব্লোয়ার দিয়ে ধোঁয়া বের করে দেওয়া হয়। মূলত এ কাজে সবচেয়ে বেশি সময় লেগেছে।

অভি মেডিসিনের মালিক সাইদুর রহমান জানান, মার্কেটে তার গুদাম সবচেয়ে বড়। আগুনে তার গুদামের সব ওষুধ পুড়ে গেছে।

সাইদুরের ভাই মতিউর রহমান জানান, ভাইয়ের গুদামের পাশে আমার ওষুধের গুদাম। এই গুদামেরও সব ওষুধ পুড়ে গেছে। এছাড়া আশপাশের অধিকাংশ গুদামগুলোর ওষুধ আগুনের তাপে ও পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে।

মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ওষুধ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ৩৮টি গুদামের ওষুধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ভিজে মার্কেটের লিফট নষ্ট হয়ে গেছে। আরও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হচ্ছে। প্রতিটি গুদামে অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ওষুধ আছে।

মিজানুর রহমান আরও জানান, মার্কেটে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সেটি ব্যবহার করার সুযোগ হয়নি। আমরা ধারণা করছি কোনো ইলেকট্রিক সার্কিট নয়, সিগারেটের আগুন থেকে এই ঘটনা হতে পারে।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক বলেন, প্রায় দুই-আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনের থেকে ধোঁয়ার পরিমাণ বেশি ছিল। এজন্য সময় লেগেছে বেশি। পুরো ভবনটি আমরা ঘুরে দেখেছি, এখানে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছিল। সিঁড়ি একটা ছিল। আগুনের সূত্রপাত তদন্ত সাপেক্ষে বলা হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com