মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বিমসটেক সম্মেলনে মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে ড. ইউনূসের দক্ষিণ সিটিতেও নাগরিক সনদ দেবেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা ‘থ্রি ইডিয়টসের’ বাস্তব ফুংসুখ ওয়াংড়ুকে আটক করলো পুলিশ মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত দেশে যত অন্যায় হয়েছে তার ৯০ ভাগ করেছেন শেখ হাসিনা: কাদের সিদ্দিকী জ্যোতি জাহাজে অগ্নিকাণ্ড : ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড়-বন্যার শঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ টিআইবির বিবৃতি প্রসঙ্গে যা বলল হেফাজতে ইসলাম পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দুদকের বৈঠক ইসরায়েলকে থামাতে যে পদক্ষেপের পরামর্শ দিলেন এরদোয়ান পুলিশ দেখে সিএনজি থেকে যাত্রীর চিৎকার, ধরা পড়ল তিন ছিনতাইকারী জয়-পুতুল-ববির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ ডিএমপির পাঁচ ডিসিকে বদলি-পদায়ন ডেঙ্গুরোগী বেশি দক্ষিণ সিটিতে, ঢাকার বাইরে শীর্ষে চট্টগ্রাম আরও ৩০ মেডিকেল ডিসপেনসারি উদ্বোধন সেনাপ্রধানের মহানবি (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিকারী যুবক গ্রেপ্তার থাইল্যান্ডে বাসে আগুন লেগে ২২ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর শঙ্কা সাবেক হুইপ মাহবুব আরা গিনি তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি নাজিমকে হত্যার চেষ্টা : ৫ দিনের রিমান্ডে জ্যাকব

বকেয়া বেতনের আশায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে হাজারও শ্রমিক

গাজীপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের আশায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জড়ো হয়েছেন স্টাইলক্রাফট লিমিটেডের শ্রমিকরা। একই দাবিতে গতকাল বুধবার (২ আগস্ট) সকালে সড়ক অবরোধ করেন তারা। পরে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম শ্রমিকদের পাওনা আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। তার আশ্বাসে দুই ঘণ্টা পর শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে বুধবার শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করে বাড়ি ফিরে গেলেও আজ বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে কয়েক হাজার শ্রমিক মিছিল নিয়ে গাজীপুরের রাজবাড়ীতে অবস্থিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জমায়েত হয়।

এসময় তারা তাদের পাওনা বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের টাকা পরিশোধেরে দাবি জানান।

পরে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি এনডিসি মোস্তফা আব্দুল্লাহ নুর, সহকারী কমিশনার ও সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট শোয়েব ইভান শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা শ্রমিকদের জানান, শ্রমিকদের সমস্যাটি সমাধান করার জন্য আজ বিকেলে জেলা ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে আপনাদের (শ্রমিক) প্রতিনিধি ও মালিকপক্ষ উপস্থিত থাকবে। আমরা আশা করি সভায় আপনাদের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।

এসময় কয়েকজন শ্রমিক জানান, আগেও এ ধরণের আলোচনা হয়েছে, সিদ্ধান্ত হয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। এ সময় ওই দুই কর্মকর্তা তাদের আশ্বস্ত করেন, আগের মতো আর হবে না। আজকের সভার মাধ্যমে সমস্যাটির স্থায়ী সমাধান হবে। আপনারা একটু অপেক্ষা করেন।

এসময় শ্রমিকরা জানান, তারা বিকেলে সভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।

শ্রমিকদের অভিযোগ, মালিকপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে স্টাইলক্রাফট নামের তৈরি পোশাক কারখানাটিত কয়েক মাস পরপরই বেতন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। কারখানাটিতে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। মালিকপক্ষের কাছে জুন, জুলাই মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পাওনা রয়েছে। বকেয়া বেতন-ভাতা নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

এর প্রেক্ষিতে গত ২৬ জুলাই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে মালিক পক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ আগস্ট তাদের বেতন পরিশোধ করার কথা। মালিকপক্ষ এক তারিখে বেতন পরিশোধ না করে কারখানা থেকে চলে যায়। পাওনা বকেয়া না পেয়ে ১ আগস্ট শ্রমিকরা অসন্তুষ্ট হয়েও বাড়ি ফিরে যায়।

কিন্তু বুধবার সকালে ৮টার দিকে কারখানায় কাজে যোগদান করতে এসে শ্রমিকরা কারখানার গেটে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখতে পায়। বকেয়া পরিশোধ না করে কোনো কিছু না জানিয়ে এভাবে হঠাৎ রাতে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেওয়ায় সকালে শ্রমিকরা আন্দোলনে নামেন। উত্তেজিত শ্রমিকরা ঢাকা-জয়দেবপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। একারণে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তি পড়েছেন যাত্রী ও পথচারীরা। পরে ঘটনাস্থলে যায় মহানগর ও শিল্প পুলিশ।

কারখানায় কর্মরত কামরুন্নাহার, রোকেয়া সহকয়েকজন শ্রমিক অভিযোগ করেন, চলতি মাসসহ তিন মাসের বেতন বকেয়া থাকায় বাড়ি ভাড়া, দোকানের বাকি টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই অবিলম্বে বেতন ভাতা পরিশোধে সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা চাইছেন শ্রমিকরা।

শিল্প পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, বেতন ভাতা পরিশোধের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানার মালিকের সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ আগস্ট জুন মাসের বেতন ও ৮ আগস্ট শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেয়ার কথা। কিন্তু মালিক পক্ষ বেতনাদি পরিশোধ না করেই কারখানা ছয় দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। বুধবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করতে এসে বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে  আন্দোলনে নামেন।

জিএমপির সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে শ্রমিক আন্দোলনের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের আলোচনা বৃহস্পতিবার আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করা হলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com