দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণের মাধ্যমে এ বছরের বই পড়া কার্যক্রমের উদ্বোধন হলো।
মঙ্গলবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মিলনায়তনে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এবং বিকাশের চিফ এক্সর্টানাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে এম সোলায়মান আল মামুন এবং বিকাশের রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের হেড হুমায়ুন কবিরসহ অন্যান্যরা। T
ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্য-পুস্তকের বাইরেও বইপড়ার অভ্যাস তৈরির মাধ্যমে যাতে পরিপূর্ণ ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ পায়, সে উদ্দেশ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দেশজুড়ে বই পড়া কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এই উদ্দেশ্যকে আরো প্রসারিত ও কার্যকরী করতে নয় বছর ধরে বই পড়া কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত আছে বিকাশ।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, আমাদের দেখার চোখকে বড় করতে হবে, অর্থাৎ আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে বড় করতে হবে। আর সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে বড় করা, চোখের সংখ্যা বাড়ানোর উপায় হলো বিভিন্ন বিষয়ে বই পড়া। বাংলাদেশকে অনেক বড় হতে হবে, বাংলাদেশের সম্ভাবনাও অনেক, সে সম্ভাবনার পতাকা হচ্ছে তোমাদের হাতে। তোমরা সে পতাকা ধরো। দেখবে বাংলাদেশ হাজার হাজার আলোকিত চোখের একটা পৃথিবী হবে।
দেশে-বিদেশে জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় পৃথিবীতে যারা সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এমন মানুষদের গল্প শুনিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) বলেন, তোমাদের পড়াশোনা করে আলোকিত মানুষ হতে হবে। তোমরা আলোকিত মানুষ হলে দেশ বিকশিত হবে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচির সঙ্গে বিকাশের এই সম্পৃক্ততা আলোকিত মানুষ গঠনের পথে সংযুক্ত হওয়া। বিকাশের যাত্রায় সবমসয় বইয়ের সাথে সংযুক্ততা রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ মিলনায়তনে ১২০০ বেশি শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়। বই বিতরণ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশন করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি