বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: অর্থ পাচার মামলায় দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। রোববার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন।
এদিন আসামিপক্ষে বেশ কয়েকন আইনজীবী জামিন শুনানি করেন। অপরদিকে দুদকের পক্ষ থেকে আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধীনা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন আবেদন নাকচ করেন। দুদকের কোর্ট পরিদর্শক মো. আশিকুর রহমান যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, এর আগ চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল দুই দফার রিমান্ড শেষে বাবুল চিশতীকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার হাকিম আদালত আসামির জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে বাবুল চিশতী কারাগারে রয়েছেন। বাবুল চিশতীর চলতি মাসের ১০ এপ্রিল প্রথম দফায় চার দিন ও ১৯ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অপরদিকে এ মামলায় ১৮ এপ্রিল রিমান্ড শেষে বাবুল চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীসহ তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। কারাগারে থাকা অপর আসামিরা হলেন ব্যাংকের ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান ও এসভিপি জিয়া উদ্দিন আহমেদ।
সূত্র আরও জানায়, চলতি বছরের ১০ এপ্রিল দুপুরে দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বাধীন একটি দল রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেফতার করে। এর কিছ সময় আগে রাজধানীর গুলশান থানায় অর্থ পাচারের অভিযোগে ছয়জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলায় ২৫টি ব্যাংক হিসাব খুলে ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা স্থানান্তর ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে হিসাবগুলোতে গ্রহণ ও নিজেদের (আসামিদের) নামে ব্যাংক শেয়ারের মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম মামলাটি তদন্ত করছেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস