অনাবৃষ্টির কারণে পটুয়াখালীতে এবার মুগডালের ফলন ভালো না হলেও বাজারে দাম থাকায় খুশি কৃষকরা। ভালো দামে বিক্রি করে লোকসান কাটিয়ে ওঠার আশা করছেন এখানকার মুগডাল চাষিরা।
জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুগডাল মণ প্রতি ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। দূর-দূরান্ত থেকে পাইকার ও মহাজনরা এসে ভিড় করছেন পটুয়াখালীর বিভিন্ন হাট-বাজারে। কিনে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষকের উৎপাদিত মুগডাল।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় মোট ৯৭ হাজার ১৩২ হেক্টর জমিতে মুগডাল চাষ হয়েছে। এবছর বৃষ্টি না হওয়ায় মুগডালের ফলন কম হয়েছে। কিন্তু বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় ক্ষতি পোষাতে পারবেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকরা ক্ষেত থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুগডাল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ আবার ডাল মাড়াই করে রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত।
স্থানীয় মুগডাল চাষি আবুল হাসেম জানান, এবার পানি না পাওয়ায় মুগডালের ফলন তেমন ভালো হয়নি। গাছে পোকায়ও আক্রমণ করেছে। তবে আশার কথা হল এবার মুগের বাজার দর ভালো। আমি মঙ্গলবার (৪ মে) পুরাণ বাজার হাটে মণ ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেছি।
পটুয়াখালীর বাউফল থেকে আসা এক পাইকার জানায়, পুরাণ বাজার থেকে ৪০ মণ মুগডাল কিনেছি। মণ প্রতি ৩ হাজার ২০০ টাকায় এবার মুগডাল কিনতে হয়েছে। গতবার দাম কিছুটা কম ছিল।
পটুয়াখালী জেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে মুগ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে বাজারে মুগডালের ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। এতে মুগডাল চাষিরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।
বাংলা৭১নিউজ/পিকে