ফরিদপুরের সালথায় দুই গ্রামবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় কয়েকটি বাড়ি-ঘরও ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফায় উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বড় বালিয়া ও ভাবুকদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বালিয়া গ্রামে একটি দাওয়াত ও মিটিংকে কেন্দ্র করে হিরু মোল্যার সমর্থকদের সঙ্গে প্রতিপক্ষ সরোয়ার মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনা নিয়ে রাতেই দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারামারি হয়।
এদিকে এ ঘটনার সূত্র ধরে হিরু মোল্যাকে সমর্থন দেয় পাশের ভাবুকদিয়া গ্রামের বাদশা মিয়া ও তার লোকজন। বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে ভাবুকদিয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বড় বালিয়া গ্রামের সরোয়ার মাতুব্বারের সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ বাধে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় ঘটা সংঘর্ষে বাদশার সমর্থক ভাবুকদিয়া গ্রামের পিকুল মাতুব্বরের (৫১) বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে সাতজন পুলিশ, পিকুল মাতুব্বর, পান্নু মাতুব্বরসহ (৪৭) কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পরপর আতঙ্কে এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শটগানের রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ সময় উভয়পক্ষের নিক্ষেপকৃত ইটপাটকেলে অন্তত সাত জন পুলিশ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও স্বাভাবিক রাখতে এলাকা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ