বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: গত বছরের জুনে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭.৪ শতাংশ। তবে পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে এরই মধ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.৬৫। অতএব চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি প্রাথমিক হিসাবে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে অর্থবছর এখনও শেষ হয়নি। আরও একটি মাস বাকি আছে। আর অর্থবছর শেষে পরিসংখ্যান ব্যুরো চূড়ান্ত হিসাব দেবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই তথ্য জানান তিনি।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের সময়ও প্রবৃদ্ধির হার ৭ এর কিছু বেশি বলে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। তবে চূড়ান্ত হিসাবে তা ৭.২৪ শতাংশ হয়। অর্থমন্ত্রী জানান গত এক দশকে প্রবৃদ্ধির গড় হার ৬.৪ শতাংশ। এটি এখন সাত শতাংশ ছাড়িয়ে ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলেও আশাবাদী মুহিত। অর্থমন্ত্রী তার প্রস্তাবিত বাজেটে প্রথমে গত অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেট দেন। আর শুরুতে দেয়া ভূমিকায় বাজেট পেশের আগে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে পরামর্শ, বাংলাদেশের অর্থনীতির এগিয়ে চলার নানা ধাপ বর্ণনা করেন।
চলতি অর্থবছরের চেয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেটের আবার বাড়ছে ৬৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সকালে সংসদে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে এই বাজেট অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বাজেটের আকার চার লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে যার আকার চার লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি। বর্তমান সরকারের শেষ বছরে এই বাজেটকে ভোটার তুষ্টিকেই মূল লক্ষ্য ধরা হয়েছে। বাজেট পেশের পর প্রায় এক মাস এর ওপর আলোচনা চলবে জাতীয় সংসদে। আর আগামী ১ জুলাই অর্থবছর শুরুর আগে তা পাস হবে জাতীয় সংসদে। আর পাসের আগে প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু সংযোজন বিয়োজন হবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ অনলাইন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস