নোয়াখালীর সেনবাগে অপহরণের চার মাস পরও প্রবাসীর নববধূকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এলাকাবাসী ও নববধূর আত্মীয়স্বজনরা জানান, সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে মো. রবিউল ওরফে শিহাব (২০) নববধূকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে বলে মঙ্গলবার ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, নোয়াখালী আদালতে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন।
এর আগে গত ২৪ জুলাই ভুক্তভোগীর মা সেনবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ২৪ জুন প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আমার মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের ২৯ দিনের মাথায় ২২ জুলাই সন্ধ্যার দিকে শিহাব নামে এক তরুণ আমার মেয়েকে ৮ ভরি স্বর্ণ ও ১ লাখ টাকাসহ ভাগিয়ে নিয়ে যায়। ২৪ জুলাই এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় আমার মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে বলে আমি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। কিন্তু পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধারে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
এর পর আমি মামলা করতে গেলে পুলিশ তালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করে মামলা নেয়নি। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মো. রবিউল ওরফে শিহাবের ফোনে কল করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জানতে তার মায়ের ফোনে কল করা হলে ফোন রিসিভ করেন শিহাবের নানি আনোয়ারা বেগম। তিনি অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, তাদের মেয়ে আমাদের ছেলেকে নিয়ে ভেগে গেছে। ছেলের চিন্তায় তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
সেনবাগ থানার ওসি জানান, ভুক্তভোগী পরিবার এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেছেন। মামলাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিবিআই নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি বলেন, খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি