শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৭:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
৩০ দিনের মধ্যে শহীদ আনোয়ারা উদ্যান ফেরতের দাবি মাগুরায় রেলপথ শিগগিরই চালু হবে : রেলমন্ত্রী যিনি দেশ বিক্রি করতে চেয়েছিল আপনি তো ওনারই সন্তান হেফাজত নেতা মামুনুল হক ডিবিতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত: আইজিপি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে স্কুলসামগ্রী বিতরণ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি হাবিব ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি স্বাক্ষর ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু ডেপুটি গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে বাধা নেই বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ভ্রমণে তিনদিনের নিষেধাজ্ঞা ঢাবিতে বিষমুক্ত ফল নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন গোপালগঞ্জের সেপটিক ট্যাংকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ২ শ্রমিক নিহত দিল্লির তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে ভোট বর্জনই বিএনপির আন্দোলন: এ্যানি আফগানিস্তানে বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১ পশুর জন্য প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে বললেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংক স্বাধীন সত্তা হারিয়েছে: ড. ফাহমিদা ৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের

প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এত উদ্বেগ কেন

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এত উদ্বেগ কেন। ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ চিন্তা থেকে বিবেচনা করলে হবে না। সমগ্র রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার দশম সংসদের ২২তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক অসামাজিক, বিভ্রান্তিকর ও জঙ্গিবাদী ভাবধারা প্রচার করা হয়। মানুষের চরিত্র হনন করা হয়। রাজনৈতিক কুৎসা রটনা করা হয়। এগুলো সমাজে অশুভ বার্তা দেয়। সমাজে ও পরিবারে নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। এগুলো দেখা, মানুষ ও সমাজকে নিরাপদ রাখা সরকারের দায়িত্ব। এতে কারও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক নামকরা সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যক্তি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার পরপরই এ নিয়ে মতামত দিয়েছেন। তাঁদের কণ্ঠ রোধ হয়নি। সে জন্যই তাঁরা মতামত দিতে পারছেন। না হলে মতামত দিতে পারতেন না। ২০০১–২০০৬ সালে সাংবাদিকদের ওপর কীভাবে নির্যাতন হয়েছে, তাঁরা হয়তো তা ভুলে গেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সাংবাদিকতা সমাজে সংঘাত বাড়ানোর জন্য নয়। মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা সংবাদপত্রের কাজ হতে পারে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটাই দেখা যাচ্ছে।

সংসদ নেতা বলেন, তাঁর সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছে। তাঁরা চান এর সুফল জনগণ ভোগ করুক, কুফল থেকে দূরে থাকুক। সে লক্ষ্য নিয়েই ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল পাস হয়েছে। এখানে শুধু গোষ্ঠী স্বার্থ দেখলে হবে না।

যাঁরা গণতন্ত্র নড়বড়ে দেখেন, তাঁদের অবস্থা নড়বড়ে

দশম সংসদকে কার্যকর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করেছেন। যাঁরা গণতন্ত্র নড়বড়ে দেখেন, আসলে তাঁদেরই নড়বড়ে অবস্থা।

সংসদের এই অধিবেশনকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটা সরকারের মেয়াদ শেষের দিকের অধিবেশন। এরপর নতুন নির্বাচন হবে। জনগণ ভোট দিলে তাঁরা আবার সংসদে আসবেন। তখন কী করা হবে তার পরিকল্পনাও তাঁদের আছে।

শেখ হাসিনা সেই পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিটি গ্রামে শহরের সুযোগ–সুবিধা সম্প্রসারিত করা হবে। ২০৪০ সালে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ। ২১০০ সালে প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ হবে। বাংলাদেশ সোনার বাংলায় পরিণত হবে।

কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের আইনি বৈধতা দেওয়ার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অবহেলিত ছিল। তারা মেধাবী। নিজেদের ব্যবস্থাপনায় নিজেরা পড়াশোনা করে। তারা প্রথম দিকে স্বীকৃতি চায়নি। পরে চেয়েও পায়নি। এই স্বীকৃতিটা বর্তমান সরকার তাদের দিয়েছে, যাতে তারা একটা সনদ পায়। সুন্দরভাবে জীবনটা গড়তে পারে। নয় বছর ধরে এ নিয়ে কাজ করে আইনটি তৈরি করা হয়েছে। কাজেই যাঁরা বলেন, হঠাৎ করে এটা করা হয়েছে, তাঁদের কথা ঠিক নয়।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের সাড়ে ৯ বছর মেয়াদে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। মূল্যস্স্ফীতি কমেছে। বাজেটের আকার সাত গুণ বেড়েছে। ৯০ শতাংশ নিজস্ব অর্থায়নে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবেই দেশের অগ্রগতি হচ্ছে। তিনি বলেন, সফলতার সঙ্গে দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর লক্ষ্য বাস্তবায়ন হচ্ছে। দেশ নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে। খাদ্য, পুষ্টি, চিকিৎসা সুবিধা সম্প্রসারিত হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে।

পত্রিকা দেখে দেশকে বোঝার দরকার নেই

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে। কিন্তু দেশে এমনও পত্রিকা আছে, যা খুললে মনে হয় দেশে কিছুই হয়নি। তারা সরকারের ভালো কিছুই দেখে না। এমনভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে যে এ সরকার খুবই খারাপ কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে আমার আত্মবিশ্বাস আছে, আমি দেশের জন্য কাজ করছি। আর দেশও এগিয়ে যাচ্ছে। তাই পত্রিকা দেখে আমার দেশকে বোঝার দরকার নেই।’

শেষ হলো অধিবেশন
৯ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া সংসদের ২২তম অধিবেশন বৃহস্পতিবার শেষ হয়। অধিবেশন সমাপ্তি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠ করার মধ্য দিয়ে অধিবেশনের ইতি টানেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

অধিবেশনে বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল, সড়ক পরিবহন বিল এবং কওমি সনদকে স্বীকৃতি দিতে ১৮টি বিল পাস হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com