প্রত্যাবাসন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ করেছে কক্সবাজারের উখিয়ার লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা নারীরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরের খোলা মাঠে এ সমাবেশ হয়। রোহিঙ্গা সমাজে নারীদের এ ধরনের সমাবেশ ব্যতিক্রম। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর এটিই রোহিঙ্গা নারীদের প্রথম সমাবেশ।
এ সময় রোহিঙ্গা নারীরা তাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে মিয়ানমারে ফিরে যেতে চান বলে জানান।
সভায় নেতৃত্ব দেওয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ ওয়েস্ট, সি ব্লকের সেতেরা বেগম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পুরুষেরা প্রত্যাবাসনের দাবিতে সমাবেশ ও আলোচনা সভা করে আসছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে প্রত্যাবাসনের কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না। তাই বিভিন্ন ক্যাম্পের নারীরা একতাবদ্ধ হয়ে অধিকার, নিরাপত্তা নিয়ে সুষ্ঠু প্রত্যাবাসনের জন্য এখানে জড়ো হয়েছি। আমাদের সভায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার প্রত্যাবাসন সম্পর্কে বলেন।’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের দয়া করে জায়গা দিয়েছে। কিন্তু ক্যাম্প রোহিঙ্গাদের চিরস্থায়ী বসবাসের জায়গা নয়। নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের ইচ্ছা থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মর্যাদার সঙ্গে স্বদেশে ফেরত মাঠে বাংলাদেশ সরকার তৎপরতা চালাচ্ছেন। এ সময় পর্যন্ত নারীরা ঐক্যবদ্ধ এবং শৃঙ্খলিত থাকার জন্য সমাবেশে বলেছি। রোহিঙ্গা নারীরা প্রচলিত প্রথা ভেঙ্গে এমন একটি সমাবেশ প্রথমবারের মতো ক্যাম্পে আয়োজন করেছে। যেখানে আশে-পাশের ক্যাম্পের কয়েক শত নারী উপস্থিত ছিলেন।’
উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে ৮ লাখ এসেছেন ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর। গত ৬ বছরে কোনো রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়নি।
প্রত্যাবাসনের আগে রোহিঙ্গারা প্রথমে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি চান। তারপর নিজেদের নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ ও সম্মানজনকভাবে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর মধ্যস্থতায় নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে চান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি