বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: এখন ভোটের অপেক্ষা। আগামী রোববার ভোট। টানা ১৮দিন প্রচার প্রচারণার পর শেষ হলো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারপর্ব। আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেয়া সময়সীমা শেষ হয়েছে। ৪৮ ঘন্টা অতিক্রম করলেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হবে।
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনের মাঠে পুরোদমে সক্রিয় ছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও মহাজোটের প্রার্থীরা। তবে নির্বাচনী প্রচারে বাধা সৃষ্টি, হামলা-ভাঙচুর, প্রার্থী ও সমর্থকদের পুলিশি হয়রানির অভিযোগ শুরু থেকেই ছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্টের।
নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়, এরই মধ্যে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচন সামগ্রী জেলায় জেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল শনিবার ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে যাবে সব সামগ্রী। শেষ মুহূর্তে ব্যালট পেপারে কোনো পরিবর্তন এলে তা ছাপিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম রয়েছেন নির্বাচনী এলাকায়।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৭৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ভোটের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা নির্বাচনী এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রা করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত সভা-সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রা করা যাবে না।।
এবারের ভোট ঘিরে উৎসবের পাশাপাশি শঙ্কাও বিরাজ করছে। বিএনপি, ২০-দলীয় জোটের শরিক ও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে নির্বাচন কমিশনে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, এবার ৩০০ আসনে ভোটার ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার। এতে ৪০ হাজার ১৮৩ ভোটকেন্দ্র ও ২ লাখ ৬ হাজার ৪৭৭ ভোটকক্ষ রয়েছে।এ নির্বাচনে নতুন প্রায় এক কোটি ২৩ লাখ ভোটার প্রথমবার জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবেন। তারা এবার ভোটের আগে প্রচারে সংঘাত সহিংসতা প্রত্যক্ষ করেছে। দেখেছে প্রার্থীদের ওপর কিভাবে নগ্ন হামলা চালানো হয়েছে।
এসব তরুণ ভোটাররা সবকিছুই প্রত্যক্ষ করেছেন। শেষ পর্যন্ত তরুণ এই ভোটাররাই এবারের নির্বাচনের ফল নির্ধারণের নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।এজন্য প্রার্থীদের দৃষ্টি নতুন ভোটারের দিকে।তাদের ধারণা ভয় শঙ্কা মাড়িয়ে ভোটারা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ পেলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়ে উঠবে।
এদিকে ১০ বছর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মুখোমুখি হয়েছে।এদু’টি বড় রাজনৈতিক দলই জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট এবং বিএনপির নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।এবার নিবন্ধিত সব (৩৯টি) রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার ৮০০-এর বেশি প্রার্থী।
এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী প্রায় এক হাজার ৭৫০ জন। বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী অংশ নেয়ায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি