এই পৃথিবীতে পেলে একজনই ছিলেন, তাঁর ধারেকাছেও কেউ কখনো ছিল না, কখনো হয়তো আসবেও না। তাঁর কারণেই ফুটবল হয়ে উঠেছিল আনন্দময়, উপভোগ্য। সদ্য প্রয়াত ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তি পেলেকে এভাবেই ব্যখ্যা করছেন ফুটবলবোদ্ধারা। কিন্তু ফুটবল মাঠের বাইরেও তো পেলের একটা জীবন ছিল।
সেই জীবনেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত সাদামাটা।
লিভারপুলের কোচ জার্গেন ক্লপ এই বিষয়টাই সামনে এনেছেন। পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের একজন হয়ে পেলে যে সাধারণের কাতারে থাকতেন- এটাই মুগ্ধ করেছিল ক্লপকে। এত খ্যাতি থাকার পরও পেলে সবার সঙ্গে খুব সাধারণভাবে মিশতে পারতেন। তাঁর মাঝে কোনো অহংবোধ ছিল না। নিজেকে বড় করে দেখানোর প্রবণতা ছিল না।
ক্লপ বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে কেউ আমাকে যা-ই বলুক না কেন, পেলেই আমার কাছে সেরা। আমি এটা কখনও ভুলব না। তারা দুই জনই (পেলে ও বেকেনবাওয়ার) দেখিয়েছেন যে, পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ হলেও পুরোপুরি সাধারণ একজন হিসেবে থাকা যায়। আর এই বিষয়টিই আমি বেশি ভালোবাসি, তাদের থেকে এটা আমি শিক্ষা হিসেবে নিয়েছি, যা আমি কখনও ভুলব না। ‘
বল পায়ে পেলে ছিলেন ভয়ংকর। অবিশ্বাস্য স্কিল ছিল তার। খেলার মাঠে ইমপ্রোভাইজেশনে ছিলেন অনন্য। তাঁর পায়ের কারিকুরিতে এখনো মুগ্ধ হয়ে আছে ফুটবলবিশ্ব। তাই ক্লপ বলেছেন, পেলের সামর্থ্যের ০.০১ শতাংশও তার নেই। ব্রাজিল কিংবদন্তির সাক্ষর করা একটা জার্সি আছে ক্লপের কাছে। সেই জার্সি নিয়ে ক্লপের গর্বের শেষ নেই।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ