বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ, গুলি ও দাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে ঢাকা দক্ষিণের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মুমিনুল হক সাঈদ ও তার স্ত্রী ফারহানা আহমেদ বৈশাখীর লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থক কাউন্সিলর প্রার্থী মোজাম্মেল হকের সমর্থকদের।
এ সময় ফাঁকা গুলির ঘটনাও ঘটে। ফলে এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পোস্টার ছিড়ে ফেলে সাঈদের সমর্থকরা। এ কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আরামবাগ এই নিয়ে আরামবাগ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার রাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী রফিকুল ইসলামের এজেন্ট নাজির হোসেনকে কুপিয়ে যখম করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাকে ওয়ার্ডের আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ ভোট কেন্দ্রের এজেন্ট করা হয়েছিল। পরে নাজিরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম দাবি করেছেন, তার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বাবুলের ফুফাতো ভাই রুবেল তার এজেন্টকে কুপিয়ে যখম করেছে। তবে জাহাঙ্গীর আলম বাবুল তার দাবি অস্বীকার করে বলেছেন, রুবেল তার একজন কর্মী। আর ঘটনার সময় রুবেল এলাকায় ছিল না। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে এ ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে। এদিকে ঘটনার পরপরই চকবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এছাড়া গতকাল রাতে ঢাকা দক্ষিণের কদমতলিতে কেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে বাকবিতণ্ডার জের ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, ওয়ার্ডের কদমতলী থানা এলাকার হাজী শরীয়তউল্লাহ হাইস্কুলে একদল যুবকের সঙ্গে এলাকাবাসী ও পুলিশ যুবকদেরকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খোরশেদ আলম ওরফে বাবু মাস্টার লোকজন নিয়ে ওই কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আকাশ কুমার ভৌমিকের লোকজন তাকে বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা, হট্টগোল হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া গতকাল রাতে মিরপুরের রুপনগরসহ উত্তর দক্ষিণের কাউন্সিলির প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে যেসব কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে তার বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে দলীয় প্রার্থীর বিরোধ রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসআর