বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক পেলেন নৌবাহিনীর ২০০ সদস্য নির্বাচনের সঙ্গে গণতন্ত্রের সম্পর্ক নেই: ফরহাদ মজহার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর বিবেচনার অনুরোধ গাছ লাগানোর বিষয়টি আত্মায় ধারণ করা উচিত: পরিবেশ উপদেষ্টা সাবেক এমপি জর্জ ৩ দিনের রিমান্ডে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা স্থগিত থাকবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা আজ ঢাকায় আসছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে গুলি, কার্যক্রম বন্ধ শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক হাসিনাসহ মামলার আসামি সাবেক ৩ সিইসি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্প পুনর্বিবেচনা করা হবে বেনজীর-শহীদুলের বিরুদ্ধে মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত সংখ্যালঘুরা আমাদের আমানত: মির্জা ফখরুল সিদ্ধিরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এএসআই নিহত ঢাকা থেকে হংকং যাওয়ার ফ্লাইটে বাংলাদেশি যাত্রীর মৃত্যু রংধনু গ্রুপের রফিক ও মিজানের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অস্থিরতা কাটছে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে, আজও বন্ধ ২৫ কারখানা গুলিবিদ্ধ ফাহিমকে ব্যাংকক পাঠিয়েছে সরকার, দেওয়া হয়েছে ৮ লাখ টাকা সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে যা বললেন আসিফ নজরুল

পিস্তলের ভয় দেখিয়ে তারেক রহমানকে সাজা দিতে বলা হয়

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্ত কথিত দুর্নীতি মামলার রায় দিতে পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানো হয় বলে জানিয়েছেন বিচারক মোতাহার হোসেন। ট্যাবলয়েড পত্রিকা মানবজমিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য দিয়েছেন তিনি। 

আজ পত্রিকাটির প্রথম পাতায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে এ ঘটনার বিস্তারিত। এতে বলা হয়— সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার রায় যা হওয়ার তাই হবে। বিচারক প্রথমে এমন মনোভাব প্রকাশ করলে তার ওপর চাপ আরও বেড়ে যায়। আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা (পরে আইন সচিব হন) আবু সালেহ  শেখ মো. জহিরুল হক দুলাল সরাসরি যোগাযোগ করেন মোতাহার হোসেনের সঙ্গে। চলে আলোচনা। 

বিচারকের মনোভাব দেখে ভয়  দেখানোর কৌশল নেন দুলাল। ধানমণ্ডিতে উচ্চ আদালতের এক বিচারপতির বাসায় ডাকা হয়  মোতাহার হোসেনকে। সেখানে উপস্থিত হন জহিরুল হক দুলাল। সঙ্গে কয়েকজন  গোয়েন্দা কর্মকর্তা। কয়েকজন  কোমরে পিস্তল গুঁজে সেখানে প্রবেশ করেন। বিচারক  মোতাহার হোসেনকে বলা হয়, তারেক রহমানকে যেকোনো মূল্যে সাজা দিতে হবে। বিচারক তখন জানান, মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ নেই সাজা দেয়ার মতো।

এ মামলায় সাজা দেয়া আইনসম্মত হবে না। তখন দুলাল বিচারককে প্রাণনাশের ভয় দেখান। গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেন। একপর্যায়ে দুলাল বিচারককে বলেন, আপনাকে রায় লিখতে হবে না। আমিই লিখে দেবো। আপনি শুধু পড়বেন। পরে দুলাল রায় লিখে পাঠিয়েছিলেন বিচারকের বাসায়। বিচারক মোতাহার অবশ্য আদালতে জহিরুল হক দুলালের লিখে  দেয়া রায় পড়েননি। তিনি নিজের লেখা রায় পড়ে তারেক রহমানকে অভিযোগ থেকে  বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছিলেন।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর এই রায় ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে তিনি তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। 

তিনি বলেন, রায় ঘোষণার আগের শুক্রবারে আমার বাসায়  গোয়েন্দা সদস্যরা আসলো। তারা আমাকে নিয়ে গেলেন ধানমণ্ডিতে তৎকালীন বিচারপতি আশিস রঞ্জন সাহেবের বাসায়। দুই-চার মিনিট পরেই দেখি জহিরুল হক দুলাল এবং ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশিস রঞ্জনের বাসায় আসেন।

ঢুকে তাদের কেউ কেউ পিস্তল  বের করলো। পিস্তল বের করে গুলি লোড করছে। নাড়াচারা করছে। বলছে একবার ট্রিগার চাপলে এই পিস্তল দিয়ে ৮টি গুলি বের হয়। এসব করার কারণ ছিল আমাকে ভয়  দেখানো। আমি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ি এবং বিচারপতিও ভয় পেয়ে যান।

দুলাল বার বার বলতে থাকেন, মামলায় শাস্তি না দিলে, এই মামলায় জেল না দিলে, তারেক রহমানকে খালাস দিলে  কেউ নিস্তার পাবেন না। তখন আমি বিচারপতি আশিস রঞ্জন সাহেবকে বলি, স্যার এই মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে- নো এভিডেন্স। একজন সাক্ষীও, সরকারপক্ষ ছাড়া, তার বিরুদ্ধে নামও বলে নাই, তার নামই উচ্চারণ করে না, কোনো অভিযোগ দেয়া তো দূরের কথা।

তার নামই নাই এভিডেন্সে। আমি কীভাবে পানিশমেন্ট  দেবো? আমি বললাম, আমি এ রায় লিখতে পারবো না। তখন দুলাল জাস্টিস আশিস রঞ্জন সাহেবকে বললেন, স্যার কী করা যায়? স্যার আপনি রায় লিখে  দেন, আমি দেখবো। জাস্টিস সাহেব বললেন, না। আমি রায় লিখতে পারবো না। মোতাহার সাহেবের রায় মোতাহার সাহেব লিখবে।

তখন জহিরুল হক দুলাল আমাকে বাসায় বসে রায় লিখতে বলেন। আমি বাসায় বসেই রায় লিখি। তারেক রহমানকে খালাস  দেয়ার রায় লিখি। রোববার সকালে জহিরুল হক গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের মাধ্যমে আমার কাছে রায় লিখে পাঠান। রায়টাসহ গোয়েন্দা বাহিনীর  লোকজন আমাকে বাসা থেকে  কোর্টে নিয়ে যায়। কৌশলে আমি আমার লেখা রায়টাও সঙ্গে নিই। 

এজলাসে উঠে যা সত্য ও সঠিক  সেই রায়ই ঘোষণা করি। এরপরই পরিস্থিতি বিবেচনা করে, নিরাপত্তার উদ্বেগ নিয়ে আমাকে আত্মগোপনে যেতে হয়। 

মানবজমিনের ওই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, এই রায় ঘোষণার পর মোতাহার হোসেন দেশের বাইরে চলে যান। কয়েক দেশ ঘুরে ২০২২ সালে থিতু হন ফিনল্যান্ডে। ছেলেকে নিয়ে  সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন তিনি। 
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর এখন দেশে ফেরার চিন্তা করছেন বিচারক মোতাহার হোসেন। 

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com