সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে রাজবাড়ীতে শীতার্তদের পাশে সেনাপ্রধান অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা সহায়তায় পাবেন ১০-৫০ হাজার টাকা কমিশনের সুপারিশের পর স্বাস্থ্যের সংস্কার শুরু হবে : উপদেষ্টা বিএনপি নেতা এস এ খালেক মারা গেছেন সিরিয়ায় তুরস্ক সমর্থিত গোষ্ঠী ও কুর্দি বাহিনীর সংঘর্ষ, নিহত শতাধিক সরকারি কলেজের শিক্ষকদের সম্পদের তথ্য জমা দিতে হবে মাউশিতে মুন্সীগঞ্জে অতিরিক্ত সচিবের বাড়িতে ডাকাতি আরও পাঁচ ব্যাংকের এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটি পাট-পর্যটন-ফার্মাসিউটিক্যালস-টেলিকমে বিনিয়োগের আহ্বান নদী দূষণ রোধ-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এডিবির সহযোগিতা চাইলেন উপদেষ্টা ভারতে প্রশিক্ষণে যাওয়া হচ্ছে না বিচার বিভাগের ৫০ কর্মকর্তার টেকনাফে ৩৬ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ, হেফাজতে নিয়েছে বিজিবি ৯ দফা দাবি আদায়ে চবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান পদে রেজানুর রহমানের যোগদান সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্যই হলো বিজয়ী হওয়া : প্রধান উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাস আটক স্ত্রীসহ তাপসের ৮০ কোটির সম্পদ, ৬১৫ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন সৌদিতে ১৯ হাজারেরও বেশি অভিবাসী গ্রেফতার শেখ রেহানার ছোট মেয়ে আজমিনাও ফ্ল্যাট উপহার নিয়ে বিতর্কে

পানির নিচে সোনালী ধান, কৃষকের আর্তনাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২২
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

ভারতের পাহাড়ি ঢলে মেঘনার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নাসিরনগর উপজেলার হাওড়পারের কৃষকরা।

হাওরাঞ্চরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মেদির হাওর, আকাশি বিল, আটাওরি বিল, বিল বালিঙ্গা, কচরা বিল, ধইল্যা বিল ও খাসারচরের চারদিকে পানি থৈ থৈ করছে। এসব বিলের পানির নিচে তলিয়ে গেছে কৃষকের সোনালী ফসল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার গোয়ালনগর, ভলাকূট ও সদর ইউনিয়নে।

এছাড়া বুড়িশ্বর, কুণ্ডা, গোকর্ণ ও হরিপুর ইউনিয়নও রয়েছে অধিক ঝুঁকিতে। ওই এলাকার কৃষকের দাবি- গত এক সপ্তাহে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। ফলে কোথাও হাঁটু পানিতে আবার কোথাও কোমর পানিতে নেমে ডুবে থাকা আধপাকা ধান কাটছেন কৃষকরা। এর মধ্যে অনেক জায়গায় পানির নিচে তলিয়ে থাকা ধানে ধরেছে পচন।

গোয়ালনগর ইউনিয়নের কৃষক মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, আমার চার হেক্টর জমির অধিকাংশ পানির নিচে ডুবে গেছে। যতটুকু সম্ভব বুক পানিতে নেমেও কাটার চেষ্টা করছি।

পানি বাড়তে থাকলে ঐটুকুও কাটতে পারবো বলে মনে হয় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাইদ তারেক জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে এ পর্যন্ত ৭০ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। দুই দিনে মেঘনায় প্রায় ৭০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তাই কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে পানি আরও বাড়তে পারে, দ্রুত ফসল কেটে ঘরে নিতে।

তিনি আরও জানান, নাসিরনগরে বিভিন্ন হাওড়ে এ বছর প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে শিলাবৃষ্টি ও মেঘনায় পানি বৃদ্ধির কারণে প্রায় ১০০ হেক্টর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত আড়াই হাজার কৃষকের নামের তালিকা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ২৫ কেজি করে এককালীন চাল সহায়তা পাবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদি হাসান খান শাওন বলেন, যে সব কৃষকের ধান ৮০ শতাংশ পেকেছে তা দ্রুত কেটে নিতে হবে। দ্রুত ধান কাটার জন্য আমরা সব রকমের চেষ্টা করে যাচ্ছি। এমনকি মসজিদের মাইকেও ঘোষণা করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধান কাটার ব্যাপারে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com