ক্ষতির কথা স্বীকার করে কৃষি বিভাগ বলছে, পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিশখালি নদীপাড়ের গ্রাম মানকী সুন্দর। এ গ্রামের ৮ কৃষক মিলে ১০ একর জমিতে তরমুজের আবাদ করেন। সঙ্গে আরও ১০ জন দিনমজুরের অক্লান্ত শ্রমে যখন মাঠে হেসে ওঠে তরমুজের ফলন। কিন্তু পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে সেই হাসি কান্নায় পরিণত হয়। ঋণের টাকায় পুঁজি খাটিয়ে ৬০ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রির আশা দুঃস্বপ্নে রূপ নিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বেশ লাভজনক হওয়ায় জেলার চরাঞ্চলে ছোট ছোট দল বেঁধে চাষিরা তরমুজ চাষের প্রকল্প গড়ে তোলেন।
পানি একদিন পর নেমে গেলেও বেশির ভাগ তরমুজ গাছের গোড়া নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আকারে বড় হবে না ফলনের একটি বড় অংশ।
শুধু মানকীসুন্দর গ্রামের তরমুজই নয়, বন্যার কবলে পড়েছে সদর উপজেলার পোনাবালিয়া, বিনয়কাঠি, ধানসিঁড়ি, রাজাপুর উপজেলার সাঙ্গর, সুক্তাগর, কেওতা, পালটসহ কাঁঠালিয়া ও নলছিটি উপজেলায় তরমুজ চাষ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফজলুল হক ক্ষতির কথা স্বীকার করে বন্যাসহ বৈরী আবহাওয়ার কবল থেকে চরাঞ্চলের তরমুজ রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ জরুরি বলে জানায়।
জেলায় এ বছর ৩৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ মেট্রিক টন।
বাংলা৭১নিউজ/জিকে