আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার শামসুল হক রেজা। গ্রিন লাইন পরিবহনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আইনজীবী অজি উল্লাহ।
এর আগে গত ৩১ মার্চ রাসেল সরকারকে টাকা দেয়ার আদেশ বহাল রেখেছিলেন আপিল বিভাগ। ওইদিন হাইকোর্ট ৩ এপ্রিলের মধ্যে টাকা দিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার খন্দকার শামসুল হক রেজা আদালতে বলেন, গ্রিন লাইন পরিবহন আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। তখন গ্রিন লাইনের আইনজীবী অজি উল্লাহ আদালতে জানান যে, গ্রিন লাইনের প্রোপ্রাইটার চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন।
এ সময় আদালত বলেন, কোথায় গেছেন? কবে ফিরবেন, কবে গেছেন? তাহলে তার ম্যানেজারকে ডাকুন। অন্যথায় তাকে অ্যারেস্ট করার ব্যবস্থা করবো? নাকি তার সমস্ত গাড়ি সিজ (জব্দ) করার ব্যবস্থা করবো?
জবাবে গ্রিন লাইনের আইনজীবী বলেন, আমি ম্যানেজারকে জানাবো। এ সময় আদালত বলেন, তাকে আসতে বলেন দুইটার মধ্যে।
অজি উল্লাহ বলেন, আমি দুইটার মধ্যেই কোম্পানির ম্যানেজার কে আদালতে আসতে বলছি। এরপর আদালত বিষয়টি দুপুর দুইটা পর্যন্ত মুলতবি রাখেন।
গত ১২ মার্চ বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দিয়েছিলেন।
৫০ লাখ টাকা দেয়ার আদেশের পাশাপাশি রাসেলের অন্য পায়ে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে এবং কাটাপড়া বাম পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর খরচও গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে দিতে বলা হয়েছিলো। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গিয়ে বিফল হয় গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বাংলা৭১নিউজ/এসক