শরীয়তপুরে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থদের হামলায় ৩ পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশের গাড়িসহ ৪টি মোটরসাইকেল অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বগাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পালং মডেল থানার পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৬ষ্ঠ ধাপে গতকাল সোমবার শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়। ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৫ জন প্রার্থী ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফল ঘোষণার পর বিজয়ী প্রার্থী সেলিম সরদারের (মোরগ মার্কার) সমর্থকরা বিজয় মিছিল বের করেন। এ সময় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী হাফিজ উদ্দিনের সমর্থকরা বিজয় মিছিল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ সময় হামলাকারীরা ভোটকেন্দ্রের মাঠে থাকা পুলিশের দুটি, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের দুটি মোটরসাইকেল ও ভোটের মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি নিয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এতে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন (৪৭), কনস্টেবল মো. শরীফুজ্জামান (২৮), মামুন হোসেন (২৯) ও মো. মামুন, ছোরহাব হোসেন(৪৮), রফিক কাজীসহ (২৭) আহত হয়েছেন ১০ জন। হামলাকারীরা ৪টি মোটরসাইকেল, একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে। আরেকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পানিতে ফেলে দেয়। প্রিসাইডিং অফিসার ইমাম হোসেন বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় গতকাল রাতে সাড়ে ৯ টায় অপর পরাজিত মেম্বার প্রার্থী দলিলউদ্দিন ধলু মাদবর (ঘুড়ি) ও আজিবর রহমান নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী হাফিজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ