জয়পুরহাটে চতুর্থ ধাপের নির্বাচন পরবর্তী পৃথক সহিংসতায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীর বাড়ি ও দোকানে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ফরিদ হোসেন (৫০) নামে একজনকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে নৌকা মার্কার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাতে সদর উপজেলার ভাদশা ভগবানপুর ও দূর্গাদহ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায়, সদ্য ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে সদর উপজেলার ভাদশা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হায়দার আলীর ঘোড়া প্রতীকের নির্বাচন করেন ভগবানপুর এলাকার বাদশা। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় নৌকা মার্কার কর্মী সর্মথকরা বাদশার বাড়িতে ঢুকে টিভি, সোফাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ও তার বাড়ি সংলগ্ন দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে টাকা পয়সা লুটপাট করা হয়।
এরপর দূর্গাদহ বাজারে বটতলার মোড়ে ঘোড়া মার্কার সমর্থক ফরিদ হোসেন নামে একজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুরুতর আহত করা হয়। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ফরিদ হোসেন ভাদশা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মৃত মাওলানা মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় নবনির্বাচিত ভাদশা ইউপি সদস্য মুন্না পারভেজ জানান, আমি শুনেছি ঘোড়া মার্কার নির্বাচন করায় বাদশার বাড়িতে হামলা করেছে নৌকার কর্মী সমর্থকরা। তাদের না পেয়ে বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করে। এছাড়াও এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে ও সাধারণ জনগণ চরম শঙ্কার মধ্যে রয়েছে।
এ ব্যাপারে নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান স্বাধীন সরোয়ার বলেন, পরাজিত হয়ে তারা নিজেরাই ভাঙচুর করে আমার কর্মী সর্মথকের ওপর দায় চাপাচ্ছে। এসব অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন।
জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, ভাদশা ইউনিয়নে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তবে এরপর আর যেন নির্বাচন পরবর্তী কোনো সহিংসতা না হয় পুলিশ প্রশাসন ও আমরা সেই চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান বলেন, আমি ওই এলাকায় এসেছি, লিখিত অভিযোগ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে