বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই দুর্নীতি দমন কমিশন প্রমাণ করতে পারেনি। ফৌজদারি মামলায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে না পারলে এর সুবিধা পাবেন আসামি। কাজেই খালেদা জিয়া সম্পূর্ণরূপে খালাস পাবেন।
বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নবম দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এ দাবি করেন।
এদিনে যুক্তি উপস্থাপন শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৬, ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন পুরান ঢাকার বকশীবাজাবের বিশেষ আদালত ৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, এ মামলায় সাক্ষ্য-তথ্যপ্রমাণে ম্যাডামকে (খালেদা) দোষী সাব্যস্ত করতে পারেনি। আর এই ট্রাস্টের সঙ্গে উনার কোনো সম্পর্ক নেই। উনি সম্পূর্ণরূপে খালাস পাবেন। এ সময় তিনি আদালতকে উদ্দেশ করে বলেন, খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার চান, ন্যায়বিচার করুন।
‘খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরি করে খেয়েছেন’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের অন্য নেতাদের এমন বক্তব্য আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ কিনা, প্রশ্ন রেখে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন বিএনপি নেত্রীর আইনজীবী।
আজ ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসের ‘কালো দিবস’ আখ্যা দিয়ে ২০০৭ সালের জরুরি অবস্থার কথা তুলে ধরেন খালেদা জিয়ার এ আইনজীবী। তিনি বলেন, ওই সময় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে ও খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন বাধাগ্রস্ত করতে মামলা দেওয়া হয়েছে। এখন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা আছে।
নবম দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে অংশ নিতে আজ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে গুলশানের বাসভবন থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। বেলা ১১টা ৫ মিনিটে আদালতে পৌঁছান তিনি।
এর আগে বুধবার অষ্টম দিনের মতো এই দুর্নীতি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন খালেদার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর দুর্নীতির এ দুই মামলায় খালেদা জিয়া হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় প্রথম মামলাটি করা হয়।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুদক।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস