মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
হঠাৎ বন্যার ঝুঁকিতে যে ৬ জেলা সীমার চেয়ে ৩০ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম মজুত করেছে ইরান সম্পর্ক পরবর্তী স্তরে উন্নীত করতে চায় বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস পাকিস্তানে তাপমাত্রা ছাড়ালো ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সাবেক আইজিপি বেনজীরকে দুদকে তলব ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ২ জুন থেকে ইন্টারন্যাশনাল টেলি অ্যাওয়ার্ড জিতল সিসিমপুর ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলো স্পেন শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবককে আমৃত্যু কারাদণ্ড বাংলাদেশে ব্যবসা করতে চায় অ্যামাজন-বোয়িংয়ের মতো অনেক প্রতিষ্ঠান অবৈধ বিদেশিদের বিষয়ে তদন্ত করতে আইজিপিকে নির্দেশ হাইকোর্টের বাঘাইছড়িতে পাহাড় ধস, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ সরাতে গিয়ে প্রাণ গেলো ইউপি সদস্যের মেঘনার তীররক্ষা বাঁধে ধস, মেরামতে নৌপুলিশ দেহাংশ খুঁজতে ভাঙা হবে সঞ্জীবা গার্ডেনসের স্যুয়ারেজ লাইন আজিজ-বেনজীর ইস্যুতে সরকার বিব্রত নয়: কাদের ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের দমন করবেন ট্রাম্প ১১ প্রকল্প অনুমোদন কর্ণফুলীতে হবে তীর সংরক্ষণ, নওগাঁয় আধুনিক সাইলো ‘১০ বছ‌রে ১৮১ সরকা‌রি কর্মকর্তার শা‌স্তি, ১৭০ জনকে অব্যাহতি’ রাষ্ট্রপতির কাছে তিন অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

পদ্মাসেতু বাংলাদেশের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টিভঙ্গী বদলে দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন নিজস্ব অর্থায়নে মেগা প্রকল্প পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বাবাসীর দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন তারা দেখবেন, আমরা পদ্মাসেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় বিশ্ববাসী এখন বাংলাদেশকে ভিন্নচোখে দেখতে শুরু করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ হোটেল সোফিটেলে এক নৈশভোজে যোগ দিয়ে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বাস্তব যে, সকলেই এখন বাংলাদেশ সম্পর্কে সমীহ করে কথা বলেন। বিজয়ী জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সবসময় মাথা উঁচু করে চলবে।
থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং বর্তমানে কম্বোডিয়ার অ্যাক্রিডেটেড সাইদা মুনা তাসনিম প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে এই নৈশভোজের আয়োজন করেন।
বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাও নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মাসেতু নির্মাণটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ এবং অনেকেরই এমন ধারণা ছিল বিশ্বব্যাংকের সাহায্য ছাড়া আমরা এটা নির্মাণ করতে পারবো না। কিন্তুু আমি বলেছি আমরা পারবো এবং আমরা করে দেখাবো। আমরা মিথ্যা অভিযোগ কেন মাথা পেতে নেব। এটা সত্য যে এরফলে আমাদের অনেক সমস্যা পোহাতে হয়েছে তা স্বত্বেও আমরা চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করেছি।’

পদ্মাসেতুর মত মেগা প্রজেক্টও বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব সামগ্রী- বিশেষকরে আমাদের সিমেন্ট এবং স্টীল দিয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করছি।’

বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে নানাদিকে সাদৃশ্য রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু’দশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও ভবিষ্যতে আরো সম্প্রসারিত হবে।
এই দুটি দেশই এক সময় গণহত্যার শিকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুটি দেশের জনগণকেই সংগ্রাম করে স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে। বর্তমানে কম্বোডিয়ান প্রধানমন্ত্রীও অনেক যন্ত্রণা এবং সংকটের মধ্যদিয়ে সময় অতিবাহিত করেছেন।

কম্বোডিয়া পৌঁছার পরও তিনি বাংলাদেশেই রয়েছেন এমন অভিমত ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি খুব সুন্দর দেশ। আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করতে হবে।

দু’দেশের কূটনীতিকে আরো জোরদার করার আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কাজকর্ম, ব্যবসা-বাণিজ্য দক্ষিণ এবং দক্ষিণ, দক্ষিণ- পূর্ব এবং ইউরো-এশিয়ার দেশগুলি বিশেষ করে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডে বিস্তার ঘটাতে পারি সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের নতুন বাজার খোঁজার আহবান জানিয়ে বলেন, আপনাদের নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে যেখানে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা রয়েছে।

প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কানেকটিভি জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে ভূমিকা রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যাতে এই দেশকে আর কারো মুখাপেক্ষী হতে না হয়।

তিনি বলেন, তাঁর সরকারের মূল লক্ষ্যই হলো দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উত্তোরণ ঘটানো, দারিদ্র বিমোচন, মানুষকে উন্নত জীবন দেয়া এবং গ্রামীন জনতার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানো।

তিনি এ সময় দেশী পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি দেশের রপ্তানী জোরদার করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন এবং বিদেশীদের সরাসরি বিনিয়োগের জন্য তাঁর সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধাগুলোও তুলে ধরেন।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো তাদের ওয়ার্ল্ড মেমোরি রেজিষ্টারে অর্ন্তভূক্ত করায় জাতি হিসেবেও আমরা সম্মানিত হয়েছি বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং আশপাশের দেশে বসবাসকারি বাংলাদেশী শিল্পীরা অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন এবং কবিতা আবৃত্তি করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে-বেসমরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলা৭১নিউজ/তথ্যসূত্র:বাসস/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com