নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে শহিদুজ্জামান পলাশ (৩৫) নামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক এজেন্টকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ আসনে কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
নিহত পলাশ নাটেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব মির্জানগর গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মির্জানগর গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পলাশ সৌদি আরব থাকতেন। সম্প্রতি দেশে এসে ব্যবসা করছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের পক্ষে তিনি সক্রিয়ভাবে কাজ করেন।
ভোটগ্রহণের দিন উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এজেন্টের দায়িত্বে ছিলেন পলাশ। শনিবার রাত ১০টার দিকে পূর্ব মির্জানগর গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা।
তার কপাল ও মুখে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, পলাশ নির্বাচনে আমার পক্ষে কাজ করেছিল। নির্বাচনের দিন পূর্ব মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এজেন্টের দায়িত্বও পালন করেছে।
‘গতকাল বিকালে পলাশ জানিয়েছে, তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাতে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এখন আমার জীবন নিয়েও শঙ্কায় আছি।’ বলেন তিনি।
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম বলেন, আমি হত্যা বা সহিংসতার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। গত ১০ বছর এই এলাকার সংসদ সদস্য ছিলাম। কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনি। ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। হত্যার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ আসনে মোরশেদ আলম নৌকা প্রতীকে ৫৬ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। স্বতন্ত্র (কাঁচি) প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৬৩ ভোট।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ