পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হেড কোয়ার্টার বারাসাত। এই আসনে নির্বাচনী লড়াই জমে উঠেছে নেতা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর।
চিরঞ্জিৎ কলকাতার এক প্রখ্যাত অভিনেতা। লড়ছেন দ্বিতীয়বারের জন্য তৃণমূলের টিকিটে বারাসাত আসনে। ৪০ বছর ধরে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত তিনি। অন্যদিকে নেতা হলেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ৩১ বছর ধরে বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী। তিনি বারাসাত পৌরসভার তিনবারের কাউন্সিলরও। ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যানও। বর্তমানে তিনি ফরোয়ার্ড ব্লক পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য।
চিরঞ্জিৎ বহিরাগত হলেও সঞ্জীব ভূমিপুত্র। ২০১১ সালে চিরঞ্জিৎ প্রথমবারের মতো নির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন। এবারও তিনি নেমেছেন। তবে চিরঞ্জিৎ এলাকার বাইরে অর্থাৎ কলকাতার সাদার্ন অ্যাভিনিউতে অবস্থান করছেন। নির্বাচনের জন্য এখন তিনি প্রতিদিন ভোরে বারাসাত এসে নির্বাচনী প্রচার সেরে আবার রাতে বাড়ি ফিরে যান। তাই চিরঞ্জিতের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ নন বলে তৃণমূলের একাংশের ক্ষোভ থাকলেও এবারও তাঁকে তারকা প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেন মমতা। যদিও মনোনয়নের আগে এলাকার একাংশ এবার তাঁর পরিবর্তে একজন এলাকার মানুষকে মনোনয়ন দেওয়ার আবেদন করে।
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় এলাকার মাটি কামড়ে ধরে রাজনীতি করছেন। তাই এবারে এই আসনে লড়াই জোরদার হবে বলেই মনে করছেন এলাকার মানুষ। যদিও গত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছিলেন চিরঞ্জিৎ। সেবারও প্রতিপক্ষ ছিলেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। তবে গতবারের তুলনায় এবার এই এলাকায় বাম-কংগ্রেস জোটের ভিত শক্ত হয়েছে। সারদা, নারদকান্ডে জর্জরিত তৃণমূল এখন অনেকটাই রাজ্যব্যাপী সমালোচনার মুখে।
গত নির্বাচনে চিরঞ্জিতের সঙ্গী ছিল কংগ্রেস। এবার সেই সঙ্গী ভিড়ে গেছেন বাম দলে। ফলে যেমন ভোট বাড়ছে বাম-কংগ্রেস জোটের, তেমনি ভোট কমছে তৃণমূলের। তবে দুজনই এখন এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। দুজনই বলেছেন, তারা জিতবেন। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, মানুষ এখন ঘুরে যাচ্ছে। ফিরছে জোটের দিকে। সেই প্রত্যাশা নিয়ে তিনি এখন জয়ের স্বপ্ন দেখছেন।