বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারই সহায়ক সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেভাবেই আমাদের দেশেও আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকালীন সরকারই নির্বাচন সহায়ক সরকার হিসেবে কাজ করবে।’
ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদক মন্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের একটি সংবিধান যেমন রয়েছে তেমনি একটি নির্বাচন কমিশন (ইসি) রয়েছে। আর সংবিধান অনুযায়ী ইসি’র অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকালীন সরকার শুধু সরকারের রুটিন অনুযায়ী কাজ করবে। এ সরকার গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির বিদেশে অর্থ পাচারের রেকর্ড রয়েছে। বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও তাঁর ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকো’র বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সাক্ষ্য দিয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আরাফাত রহমান কোকো’র বিদেশে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আর তাই বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে বিএনপি নেতারা সুপরিচিত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত কারো নাম পাইনি। তবে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে ও তা তদন্তে প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মেজবাহউদ্দীন সিরাজ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানাসহ সম্পাদক মন্ডলীর অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উপ-কমিটির সহসম্পাদক ও সদস্য মনোনয়নের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের ১৭টি উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব নির্বাচন করা হয়েছে। সভায় এ উপ-কমিটির সহসম্পাদক ও সদস্যদের নির্বাচনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ৬ জুলাই সম্পাদক মন্ডলীর সভায় এ বিষয়ে আরো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উপ-কমিটির সদস্য সচিবগণ যে নাম প্রস্তাব করবেন সেখান থেকে বাছাই করে চূড়ান্ত করা হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনে যারা রয়েছে তারা উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হতে পারবে না। তবে তাঁরা এ উপ-কমিটিগুলোর সদস্য হতে পারবে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, এ উপ-কমিটিগুলোতে আওয়ামী লীগের নেতাদের পাশাপাশি সংসদ সদস্য, নিজ নিজ বিষয়ে অভিজ্ঞরা থাকবেন। তবে সহ সম্পাদকের সংখ্যা একশ’র বেশী হবে না।
জেলা কমিটির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের জেলা কমিটিগুলোর মধ্যে আটটি জেলার সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা এখনও পূণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়নি। এ জেলাগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ঢাকায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাদের সাথে আলোচনা করে এ কমিটিগুলোকে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ করা হবে।
পুরো জুলাই মাস আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড চালানো হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি এ সময় একটি গণমুখী ও জনবান্ধব বাজেট দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্পাদক মন্ডলীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান।
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলীর এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা করেন মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস