সরকার প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসলেও জনগণের প্রতিরোধে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, নামসর্বস্ব দল বা সরকারের সমর্থক কোনো ব্যক্তি তাদের নিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করেছে সরকার। জনগণের প্রার্থী বাছাইয়ের কোনো সুযোগ নেই। যাকেই ভোট দেওয়া হোক না কেন, তিনি হবে সরকারি দল বা সরকারের সমর্থক ব্যক্তি।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) মতিঝিল এলাকায় ‘ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের’ পক্ষে লিফলেট বিতরণকালে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, যেখানে জনগণের জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের সুযোগ নেই এমন একটি নির্বাচনী খেলা জনগণ চায় না। চায় না বলেই জনগনণ এ নির্বাচন বর্জন করেছে। আমরা সে কারণেই জনগণের প্রতি নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছি। এটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি।
তিনি বলেন, যে সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়, ভোট দিতে দেয় না, নিত্যনৈমত্তিক দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, দুর্নীতি, লুট করে দেশের সম্পদ। আমরা এমন সরকারকে অসহযোগিতা করতে দেশের জনগণের কাছে আহ্বান জানিয়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছি।
আমরা জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকারে রাজি আছি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার এতো পরিমাণ অত্যাচার অনাচার, লুটপাট করেছে, তারা ভয় পায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে। সে কারণে তারা যে কোনো ভাবে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, প্রহসনের নির্বাচনী খেলায় সরকার নির্বাচন করেও ফেলতে পারে। এতে কিছু যায় আসে না কারণ এ দেশের মানুষ তাদের সমর্থন দেবে না।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ