বাংলা৭১নিউজ,(টেকনাফ)প্রতিনিধি: বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকাপড়া প্রায় ১ হাজার ২০০ পর্যটককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে জাহাজ ৩টি সেন্টমার্টিনে পৌঁছায়। পরে ১টার দিকে সেন্টমার্টিন থেকে পর্যটকদের নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশে রাওনা করে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় এবং সাগরে সংকেত প্রত্যাহার হওয়ায় জেলা প্রশাসন ওই পর্যটকদের ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার তিনটি পর্যটকবাহী জাহাজে করে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান অন্তত তিন হাজার পর্যটক। ভ্রমণ শেষে একই দিন প্রায় ১ হাজার ৮০০ পর্যটক টেকনাফ ফিরলেও প্রায় ১ হাজার ২০০ পর্যটক রাতযাপনের জন্য দ্বীপে থেকে যান।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে পরদিন শুক্রবার হঠাৎ করে আবহাওয়া বৈরী এবং সাগরে ৪ নম্বর সর্তক সংকেত জারি করায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। ফলে প্রবালদ্বীপে আটকা পড়েন এসব পর্যটক।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৩টি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে ১২টায় পৌঁছে। পরে ১টার দিকে পর্যটকদের নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রাওনা করেন।
ডিসি বলেন, যেহেতু অনেকদিন হয়ে গেছে, তাই অনেক পর্যটকের অর্থসংকট হতে পারে। সেই বিষয়টি বিবেচনা করে হোটেল-মোটেল রেস্টুরেন্টে ৫০ শতাংশ ছাড় দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এ বিষয়টি দেখভাল করার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। সুতরাং পর্যটকরা যে কয়েকদিন আটকে পড়েছিল সে সময় তাদের প্রতি কঠোর নজরদারী রাখা হয়েছিল।
পর্যটকের ব্যাপারে সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পরিষদের সব সদস্য কাজ করছেন। আটকাপড়া পর্যটকেরা যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়েন, আমরা সেই চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, আটকেপড়া পর্যটকেরা সোমবার দুপুর ১টার দিকে ৩টি জাহাজে করে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, সোমবার সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া কেটে গেছে। বঙ্গোপসাগরে কোনো সংকেত নেই। কক্সবাজারের আকাশে এখন ঝলমলে রোদ। তাই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে কোনো বাধা নেই।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, দ্বীপের আটকাপড়া পর্যটকরা যাতে কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
বাংলা৭১নিউজ/এসআর