বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: রাজধানীর গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর আতঙ্কে আছেন বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
নিরাপত্তা চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে আবেদন করেছেন বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তারা।
গত ১ জুলাই রাজধানীর হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় এবং ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহর কাছে জঙ্গি হামলার পর রাজধানীর বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক-কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আর এ কারণে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকের পক্ষ থেকে তাদের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে আবেদন করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে গত সপ্তাহে আবেদন করেছেন রাজধানীর সুরিটোলার নূর ট্রান্সপোর্টের মালিক আমির হোসেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘বংশাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, ফ্যানসহ বিভিন্ন মালামাল বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে এসব মালামাল লোড করে ভোর রাত পর্যন্ত পাঠানো হয়। গত ১ জুলাই গুলশানে ও ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর এ প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য টহল, তল্লাশি বৃদ্ধি করলে রাজধানীর ব্যবসায়ীরা নির্ভয়ে ব্যবসা করতে পারবেন।’
গ্রিন রোডের একটি হাউজিং কোম্পানি থেকে নিরাপত্তা চেয়ে গত সপ্তাহে ডিএমপি কমিশনারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘রাজধানীর ধানমন্ডি, কাটাবান, পান্থপথসহ বিভিন্ন এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এ ছাড়া প্রতিদিন লাখ টাকা লেনদেন করতে হয়। গত ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে জঙ্গি হামলা এবং ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনার পর এ প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ অর্থ নিয়ে চলাচল করতে চান না। পর্যাপ্ত নিরপত্তা নেই, এ অজুহাত দেখিয়ে এসব ভবনে কাজ করতে চান না কর্মচারীরা। তাই নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য টহল, তল্লাশি বৃদ্ধি করলে নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন।’
ডিএমপিতে নিরাপত্তা চেয়ে যেসব আবেদন করা হয়েছে সেগুলোর অনুলিপি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির এক কর্মকতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সম্প্রতি গুলশানে জঙ্গি হামলার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট ও টহল বাড়ানো হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে র্যােব-পুলিশের সমন্বয়ে আলাদাভাবে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল দায়িত্ব পালন করছে। এরমধ্যেও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। রাজধানীবাসীকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজধানীবাসীর নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট, পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস