সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সেতু বিভাগের সচিব হলেন ফাহিমুল ইসলাম ইসরায়েলি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ প্রথম মাসের বেতন ত্রাণ তহবিলে দিলেন আসিফ মাহমুদ ধামরাইয়ে ৯ দাবিতে আকিজ ফুড শ্রমিকদের বিক্ষোভ নারায়ণগঞ্জে বাজারে আগুন, ৩০ দোকান পুড়ে ছাই পদ্মার চরে পানি, হতাশ চাষিরা এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান গ্রেফতার সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা আজ থেকে শুরু হচ্ছে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ব্রাজিলের ‘হেক্সা’ দিল্লির সুপারশপে দেখা মিললো সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুলের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ৭৩৫ জনের খসড়া তালিকা প্রকাশ শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি শিশুর বিকাশের অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে সমাধানে বদ্ধপরিকর সরকার ৭ অক্টোবর বিশ্ব বসতি দিবসে সরকারের নানা কর্মসূচি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও প্রায় অর্ধশত ফিলিস্তিনি প্রধান উপদেষ্টা নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব ভারতে পালানোর সময় সাবেক ভূমিমন্ত্রী আটক শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ও উৎপাদন

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় শনিবার, ৫ মার্চ, ২০২২
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। গতকাল ইত্তেফাকে প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম হলো: সরকারি হিসাবের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যস্ফীতি দেশে। নিম্ন আয়ের মানুষের বেশির ভাগ অর্থ চলে যাচ্ছে খাদ্য কিনতে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরো (বিবিএস) গত ১৬ ফেব্রুয়ারি একটি হিসাব প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, দেশে জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অব ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) বলছে, মূল্যস্ফীতি এখন ১২ শতাংশের বেশি। তাদের মতে, সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার এখন ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গ্রামে এই হার ১২ দশমিক ১০ শতাংশ। এখন প্রশ্ন হলো, কোন তথ্যটি সঠিক? এত গরমিল বা ফারাক থাকার তো কথা নয়।

বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এর বহু কারণ রয়েছে। নানাজন নানাভাবে বিষয়টি বিশ্লেষণ করবেন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে। ১১০ ডলারের ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। গত আট বছরের মধ্যে এটা সর্বোচ্চ। জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে সেচখরচ ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

আমরা যেসব পণ্য আমদানি করি, তার ব্যয় বৃদ্ধির কারণেও দাম বাড়বে। যদি আমরা এসব পণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতাম, তাহলে কোনো কথা ছিল না। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য হলো—চাল, ডাল, তেল, চিনি ইত্যাদি। এখন দেখা দরকার এসব পণ্য উৎপাদনে আমরা কতটা স্বয়ংসম্পন্ন ও আমদানিনির্ভরতা কতটুকু। তাহলে বোঝা যাবে, পণ্যের দাম কেন এতটা বাড়ছে।

দীর্ঘপ্রায় দুই বছর অর্থনৈতিক স্হবিরতার কারণে দেশের সাধারণ মানুষের দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক সংকট এখনো দৃশ্যমান। এরই মাঝে তারা অনেকটা চিড়াচ্যাপটা হয়ে আছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অভিঘাতে। বাজারে মোটা চালের কেজি উঠেছে ৫০ টাকায়, ৭০ টাকা ছঁুয়েছে সরু চালের দাম। ডালের কেজি ১৩০ টাকা। বহুল ব্যবহূত ভোজ্য তেল সয়াবিনের দাম গতকাল পর্যন্ত লিটার ১৯০ টাকা। চিনি প্রতি কেজি ৮৫ টাকার বেশি।

চলমান সমস্যার গভীরতা অনুধাবন করে আমদানি শুল্ক হ্রাস করছে সরকার। অবারিত করা হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি। আমরা কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির কথা বলে অহরহ গর্ব করে থাকি। তা সত্যও বটে। উৎপাদন অবশ্যই বেড়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী কি বেড়েছে? চাহিদাও কি আমাদের বাড়েনি গত কয়েক দশকে? এই কারণে দেখা যাচ্ছে বড় ধরনের আমদানি-নির্ভরতা এখনো রয়ে গেছে আমাদের।

২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রাথমিক পণ্যের আমদানি খরচ ছিল ১ হাজার ৯৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা বেড়ে যায় ৭২৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত তার পরিমাণ দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। চাল আমদানির পরিমাণ ২০১৬-১৭ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল কম, যথাক্রমে ১৩৩ হাজার এবং ২০৬ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু ২০১৭-১৮ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে তা অনেক বৃদ্ধি পেয়ে যথাক্রমে ৩৯ লাখ এবং সাড়ে ১৩ লাখ টনে এসে দাঁড়ায়।

২০২০-২১ অর্থবছরে আমাদের চাল ও গম আমদানি করতে হয়েছে ৬৭.০২ মিলিয়ন মেট্রিক টন। তার সঙ্গে যোগ করতে হবে ২৪ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা। প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যায়, গত ১২ বছর ধরে কৃষি খাতে উৎপাদন বেড়েছে প্রতি বছর গড়ে ৩.৯ শতাংশ হারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সার্বিকভাবে কৃষিপণ্যের আমদানির রাশ টেনে ধরা তেমন সম্ভব হয়নি। চাল আমদানিতে এখন বিশ্বে দ্বিতীয় বাংলাদেশ। এর ওপরে আছে চীন। নিচে ফিলিপিন, নাইজেরিয়া ও সৌদি আরব।

দেশের অভ্যন্তরে আরো দ্রুত উৎপাদন বৃদ্ধি করা ছাড়া আমদানি প্রতিস্থাপন সম্ভবও নয়। কেউ কেউ বলে থাকেন, চাল উৎপাদনে আমরা বড় ধরনের উদ্বৃত্ত অবলোকন করছি। প্রশ্ন হচ্ছে, তার পরও চালের এত বেশি দাম বাড়ার হেতু কী? কেন আমরা এত বেশি পরিমাণে আমদানি করছি চাল? পক্ষান্তরে আলুর বাজারে এত মূল্যহ্রাস কেন? নিঃসন্দেহে তা অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে বড় সাফল্য ও উদ্বৃত্তের জন্য। অতএব পর্যাপ্ত উৎপাদন বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ স্বয়ম্ভরতা অর্জন করাই হলো দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রধান কৌশল।

এবার আসি ডাল প্রসঙ্গে। ডালের বর্তমান উৎপাদন প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টন। এর মধ্যে মুগ এবং মসুর ডালের হিস্যা প্রায় ৬০ শতাংশ। বাকি খেসারি, ছোলা, মাষকলাই, মটর, অড়হর ও ফেলন। মসুরি ডালের উৎপাদন ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যান্য ডালের উৎপাদন অনেকটাই স্হবির হয়ে আছে। লেথারজিক রোগের আশঙ্কায় খেসারির ভোগ ও উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে।

ডাল প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। এটি গরিবের মাংস। এর ব্যবহার সর্বজনীন। বছরে আমদানি করা হয় ৮ থেকে ৯ লাখ টন ডাল। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই মসুর ডাল। বাকি ছোলা ও অন্যান্য। ডাল আমদানি খরচ ২০০৯-১০ অর্থবছরে ছিল ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা ৫৯০ মিলিয়ন ডলারে বৃদ্ধি পায়। প্রধান রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে আছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নেপাল ও ভারত। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার ডাল মোটা। বর্তমান বাজার দর ৯০ টাকা প্রতি কেজি।

নেপাল থেকে আমদানিকৃত সরু ডালের বর্তমান বাজারমূল্য ১৩০ টাকা কেজি। গত বছরের তুলনায় এবার ডালের দাম বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। তাতে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। বাংলাদেশে ডাল উৎপাদন বৃদ্ধির বড় অন্তরায় এখানকার আবহাওয়া। বেশি বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা ডাল চাষের জন্য ক্ষতিকর। তবে আমাদের পরিবেশ ও আবহাওয়া উপযোগী নতুন জাতের ডাল উদ্ভাবন ও তা সম্প্রসারণের মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে ডাল উৎপাদনে ঘাটতি মেটানো সম্ভব।

এদিকে ভোজ্য তেলের দাম আকাশছোঁয়া। সম্প্রতি মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে এই ভোজ্য তেল। ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯০ টাকা ভাবা যায়? যারা বাজারদর সম্পর্কে সচেতন, নিয়মিত বাজারে যান, তারা বোঝেন আসল পরিস্হিতি কোন দিকে যাচ্ছে? পাম অয়েল ও সূর্যমুখী তেলের দামও অনেক চড়া। দেশে উৎপাদিত ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধির হার অপেক্ষাকৃত কম।

সরিষা, তিল, তিসি ও রাইস ব্র্যান তেলের ক্ষেত্রে তেমন বাড়েনি দাম। মূল্যবৃদ্ধির জোর ধাক্কা লেগেছে আমদানিকৃত তেলের ওপর। করোনার অভিঘাতে বিদেশে সয়াবিন ও পাম অয়েলের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে আমদানি মূল্য ও পরিবহন খরচ। তাতে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। বাংলাদেশে তেলবীজের মোট উৎপাদন ৫ লাখ ৬০ হাজার টন।

বার্ষিক চাহিদা রয়েছে ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৬০৮ টন তেলবীজের। উৎপাদিত তেলবীজের ৬৪ শতাংশ সরিষা। বাকি ৩৬ শতাংশ হিস্যা রয়েছে সয়াবিন, বাদাম, তিল, তিসি ও সূর্যমুখীর। বছরের পর বছর ভোজ্য তেলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৩ সালে জনপ্রতি দৈনিক ভোজ্য তেল ভোগের পরিমাণ ছিল ১১.৮ গ্রাম। ২০২০ সালে তা ২২ গ্রামে উন্নীত হয়। তাতে বৃদ্ধি পায় ভোজ্য তেলের মোট চাহিদা ও আমদানি।

২০০৯-১০ অর্থবছরে ভোজ্য তেল ও তেলবীজ আমদানির মোট খরচ ছিল ১ হাজার ১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২৪১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এই পরনির্ভরতা হ্রাসের জন্য দরকার তেলবীজের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানো। এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে আবাদি জমির স্বল্পতা। বোরো ধান এবং অন্যান্য উচ্চ মূল্যের শস্যের সঙ্গে তেল-ফসলের প্রতিযোগিতা। বর্তমানে সরিষা ও সয়াবিনের স্বল্পমেয়াদি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। তা প্রচলিত শস্য বিন্যাসে অভিযোজন করা সম্ভব। তাছাড়া চালের কুঁড়া থেকে এবং ভুট্টা থেকে তেল উৎপাদনের সম্প্রসারণ ঘটছে। আগামী দিনে ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং আমদানি হ্রাস পাবে।

বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি ভোগ্যপণ্য হচ্ছে চিনি। এর খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। এই পণ্যটির বাজার এখন পুরোটাই বেসরকারি খাতের নিয়ন্ত্রণে। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ সুগার অ্যান্ড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের আওতায় পরিচালিত চিনিকলগুলো থেকে এবার ডিসেম্বর পর্যন্ত উৎপাদিত হতে পারে মাত্র ৩০ হাজার টন চিনি।

এটুকু সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন খাতে রেশন হিসেবে সরবরাহ করার কাজেই লেগে যাবে। বাজারে চিনির মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য হস্তক্ষেপ করার মতো চিনি সরকারের হাতে নেই। সুতরাং বাজারের উচ্চ মূল্য অবদমনে সরকারের সরাসরি প্রভাব খুবই সামান্য। দেশে সরকারি চিনিকলের সংখ্যা ১৫টি। এর মধ্যে ছয়টি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গত নভেম্বরে। বাকি ৯টি চলছে ঢিমে তালে। বাংলাদেশে চিনি আহরণের গড় হার ৫ শতাংশের ওপরে। ভারতে এর পরিমাণ ১০ শতাংশের ওপরে। আমাদের কম চিনি আহরণের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বিলম্বে ইক্ষু ক্রাসিং, ভালো জাতের ইক্ষু আবাদ না করা এবং যথাযথভাবে জমিতে সার প্রয়োগ না করা।

দেশের কৃষকরা ইক্ষু উৎপাদনে অনেকটাই নিরুৎসাহিত তাদের লাভ কমে যাওয়ায়। তাতে ইক্ষুর আবাদি ফসল এলাকায় দারুণ ভাটা পড়েছে। উৎপাদন ও ফলন হ্রাস পাচ্ছে। মাসের পর মাস কৃষকরা চিনিকল থেকে তাদের প্রদত্ত ইক্ষুর মূল্য বুঝে পাচ্ছেন না। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় পাচ্ছেন না প্র্রয়োজনীয় উপকরণ-সহায়তা। চিনিকলের শ্রমিকরা পাচ্ছেন না তাদের নিয়মিত বেতন। এখন তা ০.৭৪ লাখ হেক্টর। দেশে মোট চিনির চাহিদা কম-বেশি প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন। তার মাত্র ১.৫ শতাংশ সরবরাহ করছে সরকারি চিনিকলগুলো। বাকি চিনির চাহিদা মেটাতে হয় আমদানির মাধ্যমে।

বাংলাদেশে কৃষির উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আমদানিও করতে হচ্ছে অনেক। তা প্রতিস্থাপনের জন্য উৎপাদনের পরিমাণ আরো বাড়ানো প্রয়োজন। কৃষকদের সহায়তা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করেছেন। প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন। কৃষি খাতে উদার ভতু‌র্কির ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দেশের গরিব কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত ভতু‌র্কির টাকা পুরোপুরি খরচ করা হয় না। এই অবস্থায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়াটাই কি স্বাভাবিক নয়?

লেখক: কৃষি অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও শিক্ষাবিদ

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com