নাটোরে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় হাফিজুল ইসলাম (৩৫) এক ব্যক্তির ৬০ বছর কারাদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত হাফিজুল ইসলাম নলডাঙ্গা উপজেলার বাঙ্গালখলসি গ্রামের ইমন আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত হাফিজুল ইসলাম মামলার ভিকটিম সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে স্কুলে যাতায়াতের সময় প্রায় উত্যক্ত করতো। ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ভিকটিম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাইরে এলে হাফিজুল তার মুখ চেপে ধরে এবং দুই সহযোগী সিরাজ ও সিদ্দিকের সহযোগিতায় অপহরণ করে।
পরে ভিকটিমকে বেনাপোল সীমান্তে নিয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টা করে। কিন্তু সেটি করতে ব্যর্থ হয়ে ভিকটিমকে বাসযোগে ঢাকায় নিয়ে আসামির পরিচিত জনৈক মিলনের বাড়িতে নেয়। সেখানে ভিকটিমকে ধর্ষণ করা হয়। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর পুনরায় ভিকমকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে যশোহরে নেওয়া হয়।
এসময় যশোহর থানার পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধারসহ হাফিজুলকে আটক করে। এঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে নলডাঙ্গা থানায় হাফিজুল, সিরাজ ও সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অপহরণসহ শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ শুধু হাফিজুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। পরে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের স্পেশাল পিপি আনিসুর রহমান জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত-২০০৩) এর দু’টি ধারায় ৯ (১) ধারায় আমসামি হাফিজুলকে যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একই মামলার ৭ ধারায় আসামি হাফিজুলকে আবারও যাবজ্জীবনসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানার টাকা ভিকটিম পাবে এবং হাফিজুলের সাজা একটার পর একটা কার্যকর হবে। সেই হিসেবে তাকে ৬০ বছর কারাভোগ করতে হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ