জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সামনে দিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে চিৎকার-চেঁচামেচির একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ওই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন সারজিস আলম নিজেই।
স্ট্যাটাসে সারজিস লেখেন, “ইফতারের পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সহযোদ্ধাদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা দিতে এবং তাদের কথা শুনতে যাই ৷ সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে গল্প-আড্ডা হয়, তাদের কথা শোনা হয়, চায়ের আড্ডা হয় ৷”
NSU, IUB, AIUB, UIU- এ ৪ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক সহযোদ্ধার সঙ্গে আড্ডা দিয়ে NSU’র সামনে দিয়ে হেঁটে আসছিলাম ৷ আমার সঙ্গে ১৫-২০ জন প্রাইভেটের সহযোদ্ধারা ছিল৷ পরে NSU’র গেটের সামনে দেখি ১০-১২ জন ঢাবি সিন্ডিকেট নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে ৷ এর মধ্যে ছাত্রদলের সেন্ট্রাল নেতা আহমেদ শাকিল ছিল ৷
আমি এগিয়ে যাই তাদের কথা শুনতে ৷ কিন্তু তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমার সঙ্গে থাকা প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদেরকে গালিগালাজ করতে থাকে ৷ ওদের ১০-১২ জনের মধ্যে ১-২ জনকে স্টুডেন্ট মনে হলেও বাকিদের দেখে ভাড়া করা টোকাই দুষ্কৃতকারী মনে হচ্ছিল৷ বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করাই এদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আমি দুই পক্ষকে চলে যেতে বলি এবং চলে আসি।“
“পরবর্তীতে ছাত্রদলের শাকিল তার নেতৃত্বে তার সঙ্গে থাকা টোকাই দুষ্কৃতকারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে পূর্বে আমার সঙ্গে থাকা ওই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছেলেদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে এবং সরাসরি মাথায় ও পিঠে আঘাত করে একাধিক জনকে রক্তাক্ত করে ৷” বলেন সারজিস।
“ছাত্রদলের শাকিলসহ বাকি ‘সন্ত্রাসীদের’ দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে”- এমন দাবি জানিয়ে সারজিস আলম ফেসুবক পোস্টে আরো লেখেন, “১৬ বছর ধরে ছাত্রদল টোকাইলীগের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার পর আজকে যদি ছাত্রদলের কেউ একইভাবে টোকাইলীগের সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করে তাহলে তারও পরিণতি টোকাইলীগের মতো হতে খুব বেশি দিন লাগবে না ৷”
“শিক্ষা নেন, সময় থাকতে নিকট অতীত থেকে শিক্ষা নেন।” বলেন তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ