বাণিজ্যিকভাবে সবজির চারা উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন নরসিংদীর শিবপুরের দেড় শতাধিক কৃষক। একই জমিতে বীজ অঙ্কুরোদগমের মাধ্যমে উৎপাদন করা হচ্ছে শীত ও গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন সবজির চারা। তবে অতিবৃষ্টির কারণে এ বছর নষ্ট হয়েছে বীজতলা, আর এই কারণে দাম বেড়েছে শীতকালীন সবজির চারার।
বংশপরম্পরায় সবজির চারা উৎপাদনের সাথে জড়িত শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের কৃষকরা। বেগুন, ফুলকপি, শিম, বাধাকপি, মরিচ, লাউ, শসা, টমেটো, পেঁপেসহ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের সবজির চারা উৎপাদন করে থাকেন তারা। প্রতি বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তিনবার বীজ অঙ্কুরোদগমের মাধ্যমে উৎপাদন করা হয় চারা।
কিন্তু কয়েক দফা বৃষ্টির ফলে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় একাধিকবার বীজ বপন করতে হয়েছে কৃষকদের। এতে উৎপাদন খরচ বেশি হলেও চাহিদা থাকায় তা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কৃষক।
এক কৃষক বলেন, এবার চারার উৎপাদন অনেক ভালো হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে নেওয়ার সম্ভব হবে।
আরেক কৃষক বলেন, বৃষ্টি হওয়ার পরে রোদ আসায় এখন চারা বিক্রি ভালো হচ্ছে।
গুণগতমান ভাল হওয়ায় এখানকার উৎপাদিত সবজি চারার চাহিদা রয়েছে দেশব্যাপী। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার চারার দাম বেশি গুণতে হচ্ছে বলে জানান ক্রেতারা।
এক ক্রেতা বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার চারার দাম অনেক বেশি।
কৃষি বিভাগ বলছে, চারা উৎপাদনে কারিগরি প্রশিক্ষণ, পরিচর্যা, বীজতলা বপণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
নরসিংদী কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক শোভন কুমার ধর বলেন, চারা সম্প্রসারণ কাজে আমাদের কৃষি অধিদফতরের পক্ষ থেকে কৃষকদের কারিগরি পরামর্শ দিচ্ছি। এবং বীজ সম্পর্কে নানা ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে চারা বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছি।
চলতি বছর শিবপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৭ একর জমিতে শীতকালীন সবজির বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস