বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: লুই আই কানের নকশা আসার পর সংসদ ভবনের আশপাশ থেকে সব কবর অন্যত্র সরানোর বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদে সেলিনা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ কয়েকজন ব্যক্তির কবর সংসদ ভবন এলাকায় রয়েছে।
সেলিনা বেগমের প্রশ্ন ছিল—সংসদ ভবনের আশপাশ থেকে সব কবর কবে নাগাদ সরানো হবে? জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, লুই আই কান প্রণীত সংসদ ভবনের নকশা, পুরো এলাকার মহাপরিকল্পনাসহ অন্যান্য অংশের স্থাপত্য নকশা যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাফেজখানা থেকে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে জানানো হয়েছে, নকশা পাঠানোর প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে। নকশা আসার পর পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশ্নোত্তরের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বেলা তিনটার পর সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সারা দেশে ১৬৯টি জঙ্গিবিষয়ক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬০টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৬টি, রাজশাহী বিভাগে ২৭টি, খুলনা বিভাগে ১২টি, বরিশাল বিভাগে ৭টি, সিলেট বিভাগে ৮টি এবং রংপুর বিভাগে ১৯টি মামলা রয়েছে। জঙ্গিসংশ্লিষ্ট এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি কৌঁসুলিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব মামলা বিচারাধীন, সেসব আদালতে যেন সার্বক্ষণিক বিচারক থাকেন, সে বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগ সজাগ দৃষ্টি রাখছে।
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মামলার বিচার ত্বরান্বিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন প্রক্রিয়াধীন
আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার ত্বরান্বিত করতে সাত বিভাগীয় শহরে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচারে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আশা করা যায়।
জেবুন্নেসা আফরোজের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, অধস্তন আদালতের কাজকর্মে গতিশীলতা আনতে ই-জুডিশিয়ারি নামের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বিচারপ্রক্রিয়া আরও সহজ, স্বচ্ছ ও গতিশীল হবে।
সফুরা বেগমের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক বলেন, বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত মাছের এক-দশমাংশের বেশি আসে ইলিশ থেকে। জাটকা সংরক্ষণ ও মা-ইলিশ রক্ষার কর্মসূচি নেওয়ায় ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে।
ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রপ্তানি পণ্য হিসেবে ইলিশ সম্ভাবনাময় খাত। কিন্তু দেশে ইলিশের চাহিদা ব্যাপক। তাই সরকারের নির্দেশে ২০১২ সাল থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসআর