বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে নকলে বাধা দেওয়ায় ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সরোয়ার ফকিরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে জনৈক ছাত্রের পিতা শহিদুল মুন্সী।বুধবার বিকেলে ৩০৩ নম্বর কক্ষে একই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ক শাখার ছাত্র আবীরকে নকলে বাধা দেওয়ায় ঐ ছাত্রের পিতা শহিদুল মুন্সী এ কান্ড ঘটায়।শহিদুল ভাঙ্গা পৌর সদরের ০২ নং ওয়ার্ডের নুরপুর গ্রামের মৃত হালিম মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ শহিদুলকে গ্রেফতার করেছে।
বিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে. বুধবার বিকেলে বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অনেকটা প্রকাশ্যেই ওই শিক্ষার্থী নকল করে। এ সময় ওই কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষক সরোয়ার ফকির হাতেনাতে নকল ধরে ্ওই ছাত্রের পরীক্ষার খাতা নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ছাত্রের পিতা বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে শিক্ষকের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা শিক্ষককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকের সহযোগিতায় আহত শিক্ষককে উদ্বার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।আহত শিক্ষক সরোয়ার ফকির জানান,নকলে বাধা দেওয়ায় অকারনেই বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে শহিদসহ সাঙ্গপাঙ্গরা আমার উপর হামলা চালিয়েছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।এ ব্যাপারে ভাঙ্গা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ঘটনার সাথে জড়িতদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িতদের অবশ্যই উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিৎ।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ওসি(তদন্ত) মেরাজ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, হামলায় আহত শিক্ষক সরোয়ার ফকির বাদী হয়ে অভিযোগ দিলে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত শহিদুল মুন্সীকে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস