বাংলা৭১নিউজ, নওগাঁ: বিদেশে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনের লক্ষে নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে খ্যাত পোরশায় ‘ব্যাগিং’ পদ্ধতিতে আম সংরক্ষণ করছেন চাষিরা। এ পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে গুণগতভাবে ভাল আম উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি সহজ হবে। এতে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োজন না হওয়ায় আম চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
চীন থেকে আমদানি করা ব্যাগটি উপজেলায় এই প্রথম আমে পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে। এটি ব্যবহারের ফলে আম বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যাবে। এতে আম নষ্ট কম হওয়ার পাশাপাশি ফলনও বৃদ্ধি পাবে।
পোরশা উপজেলার গবিরাকুড়ি গ্রামের আম চাষি আব্দুস সবুর মাস্টার জানান, উপজেলায় এই প্রথম আমি আমার আম বাগানে বাণিজ্যিকভাবে ব্যাগিং পদ্ধতি শুরু করেছি। এ জন্য আমাকে কোনো বাড়তি কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়নি। আর এ বছর ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে কীটনাশক মুক্ত উৎপাদিত আমের চাহিদা ও ভাল দাম পেলে আগামী বছর ১০০ বিঘা জমির আমে ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করব।
তিনি আরো জানান, একশত ভাগ নিরাপদ এই আমগুলো সংগ্রহের পরে ১৫-২০ দিন সংরক্ষিত করে খাওয়া যাবে। এরইমধ্যে ব্যাগিং পদ্ধতির আম বিদেশে পাঠানোর জন্য তার সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা ড. শরাফ উদ্দিনের সাথে কথা হয়েছে। এ প্রযুক্তির আম যুক্তরাজ্য, জার্মানী, মালয়েশিয়া, ইতালি, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান জানান, ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম চাষের জন্য এবং এর প্রসার ঘটাতে কৃষকদের সব রকম পরামর্শ ও সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বছর এ উপজেলা থেকে প্রায় ২ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করা হয়েছে। এবার ১০ মেট্রিক টন ব্যাগিং পদ্ধতির আম বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হবে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস