সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ১০:২৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কয়েকদিনের মধ্যেই পাঠ্যবই বিতরণ শেষ হবে: ডেপুটি প্রেস সচিব আদালত চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সঙ্গে আইনজীবীদের সংঘর্ষ, আহত ৮ রাঙ্গামাটিতে ২০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবি উত্তরায় ছিনতাইকারীকে ধরে ব্রিজে ঝুলাল উত্তেজিত জনতা দ্রুত সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চায় ঐকমত্য কমিশন চোখের পাতা খুলেছে ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি ঢাকা দক্ষিণে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে ১৫ মার্চ পাচার করা টাকা ফেরাতে দ্রুত বিশেষ আইন করা হবে : প্রেস সচিব ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে নির্বাচন হবে কি না সন্দেহ নুরের পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম ফারাক্কার পানি বণ্টন, ভারতের কারণে সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হাসিনা-রেহানা পরিবারসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হলেন জিয়াউদ্দিন হায়দার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আগুন ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের টাইমলাইন অতিক্রম করতে চায় না ইসি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে ধরা যুবলীগের ‘তলোয়ার জাহাঙ্গীর’ বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার: রিজভী দুই জামায়াতকর্মী হত্যার মূলহোতা মানিক শতকোটি টাকার মালিক অবৈধ বসবাসের অভিযোগে ভারতে ১৮ বাংলাদেশি আটক

দ্রুত সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চায় ঐকমত্য কমিশন

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

দেশের ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে দ্রুততম সময়ে ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর মতামত চেয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

সোমবার (১০ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ।
 
তিনি বলেন, যখন যে দলের মতামত পাওয়া যাবে সেই সময় থেকেই আলোচনার শুরু হবে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে ৩৪টি দল ও জোটের কাছে মতামত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দলগুলোর কাছ থেকে তাদের মতামত প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করবো। এজন্য এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারণ করিনি। যখন যে দলের মতামত পাওয়া যাবে সেই সময় থেকেই আলোচনার শুরু হবে। রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলোর প্রতি যত দ্রুত সম্ভব মতামত জানাতে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানান আলী রীয়াজ।

আলী রীয়াজ বলেন, এই প্রক্রিয়ার পরের ধাপ রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করছে। আমরা চাই দ্রুত আলোচনা করতে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঐকমত্যে পৌঁছে একটি ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে।

তিনি বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কমিশন কাজ শুরু করে। কমিশনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ওইদিন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সৌজন্য সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় ৩৪টি দলের মোট ১০৪ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। সভায় উপস্থিত সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে তাদের সংকল্পের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, সভায় রাজনৈতিক দলগুলোর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে ছয়টি কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনের হার্ড কপি ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়। ইতোপূর্বে সব দলকে প্রতিবেদনগুলোর সফট কপিও পাঠানো হয়।

আলী রীয়াজ জানান, এরপরে ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা তিন দফা বৈঠকে মিলিত হন এবং সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলোর প্রতিবেদনগুলো থেকে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোকে চিহ্নিত করেন। পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশসমূহকে ছকের আকারে বিন্যস্ত করা হয়। এইসব ছকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোকে যুক্ত করা হয়নি। পুলিশ সংস্কার কমিশন মনে করে যে, তাদের সুপারিশসমূহ প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব।

তিনি বলেন, এই ছকসমূহ ৬ মার্চ ৩৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এতে মোট সুপারিশের সংখ্যা হচ্ছে ১৬৬টি। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত সুপারিশ ৭০টি; নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে সুপারিশ ২৭টি; বিচার বিভাগ সংক্রান্ত সুপারিশ ২৩টি; জনপ্রশাসন সংক্রান্ত সুপারিশ ২৬টি; এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্রান্ত সুপারিশ ২০টি।

আলী রীয়াজ বলেন, প্রতিটি সুপারিশের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। প্রথমটি হলো-সংশ্লিষ্ট সুপারিশের বিষয়ে একমত কি না। এতে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো- ‘একমত’, ‘একমত নই’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এ তিনটি বিকল্পের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

তিনি জানান, দ্বিতীয়টি হলো প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায়। এই ক্ষেত্রে ছয়টি বিকল্প আছে। সেগুলো হলো ‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে’, ‘গণপরিষদের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে’ এবং ‘গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে’।

এসব ঘরের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিটি সুপারিশের পাশে দলগুলোর ‘মন্তব্য’ দেওয়ার একটি জায়গা রাখা হয়েছে। আমরা আশা করছি যে, আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলো তাদের মতামত আমাদেরকে জানাবেন। ইতোমধ্যে যদি কোনও প্রশ্ন থাকে বা ব্যাখ্যার দরকার হয়, তবে কমিশন সেসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং এইসব বিষয়ে আলোচনা করতে সব সময় প্রস্তত আছে।

লিখিত বক্তব্যে আলী রীয়াজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ব্যাপারে নাগরিকদের মতামত জানার জন্যে খুব শিগগিরই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হবে। সংবিধান এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের লক্ষ্যে সংস্কার কমিশনগুলো তাদের কার্যক্রমে রাজনৈতিক দলগুলো, নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়ে আসছে ঐকমত্য কমিশন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কারের জন্যে গঠিত ছয়টি কমিশন ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তাদের সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদনগুলো সরকারের কাছে জমা দেয়।

আগামী নির্বাচন সামনে রেখে এই ছয়টি কমিশনের সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা এবং পদক্ষেপ সুপারিশের উদ্দেশ্যে ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই কমিশনের সভাপতি। এই কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ ছাড়া অন্য সদস্যরা হলেন, বদিউল আলম মজুমদার,  আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, সফররাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক এবং ইফতেখারুজ্জামান। এই কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস।

এছাড়া কমিশনের কাজে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে সাংবাদিক মনির হায়দারকে নিয়োগ করা হয়। তিনি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ এবং সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com