সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

দেশের মানুষ আনন্দ নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারেনি-খালেদা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ২৬ জুন, ২০১৭
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: দেশের মানুষ এবার আনন্দ নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

সোমবার ঈদের দুপুরে সর্বস্তরের নাগরিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, মুসলমানদেন জন্য ঈদ অত্যন্ত আনন্দের। কিন্তু এই ঈদে আমাদের কারো মধ্যে আনন্দ নেই, সারা বাংলাদেশের মানুষের মনে কোনো আনন্দ নেই। উৎসবমুখর পরিবেশ এবার ছিলো না।”
এর কারণ হিসেবে সারাদেশে দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুর শোক, দ্রব্যমূল্যের উধর্বগতি, আকাশচুম্বি চালের দাম এবং ঈদে ঘুরমুখো মানুষের যাত্রাপথের ভোগান্তির কথা বলেন খালেদা জিয়া।
“রমজান মাসে চালের দাম ছিল সর্বকালের রেকর্ড পরিমাণ। এই বছর নিম্ন মানের চালের দামও এত বেশি যে সাধারণ গরিব মানুষ দুই বেলা পেট ভরে খেতে পারেনি। প্রতিটি জিনিসের দাম অতিরিক্ত বেশি। তারপর আবার বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এই অবস্থায় ঈদ কতটুকু আনন্দ দিতে পেরেছে? পারেনি।”
পত্রিকার খবরের বরাত দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “একটা শ্রেণি আছে, যারা অনেক টাকার মালিক, বহু টাকার মালিক, তারা এবার ঈদের জন্য কেউ ব্যাংককে, সিঙ্গাপুরে, কেউ কলকাতা-দিল্লি বিভিন্ন জায়গায় শপিং করেছেন। আর সাধারণ মানুষ হয়ত ঈদের কাপড়-চোপড়ও কিনতে পারেনি।
“দেশের মধ্যে বৈষম্য বাড়ছে। একশ্রেণির মানুষ অতিরিক্ত বড়লোক হচ্ছে নানারকম চুরি-চামারি করে, লুটপাট করে। আরেক শ্রেণির মানুষ গরিব হচ্ছে। গরিবের সংখ্যা ইতোমধ্যে বেড়ে গেছে। দারিদ্র্য বেড়েছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই।”
সামগ্রিকভাবে মানুষের হাতে এখন ‘অর্থ নেই’ দাবি করে তিনি বলেন, “টাকা শুধু একটা শ্রেণির কাছে আছে, যারা সরকারের সঙ্গে, লুটপাটের সঙ্গে জড়িত।”
সড়ক-মহাসড়কের বেহাল অবস্থার কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “এবার অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে, মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেদিকে সরকারের কোনো দৃষ্টি নেই। অথচ নানাভাবে বলা হয় যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, দেশের এই হয়েছে, সেই হয়েছে।”
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনায় তিনি বলেন, “এবারের বাজেট হল সবচেয়ে খারাপ বাজেট। ওদের নেতা-কর্মীরাই ওদের অর্থমন্ত্রীকে কীভাবে গালিগালি করেছে… কী করেছে আপনারা দেখেছেন। কত বয়স্ক মানুষ। এই বাজেটের জন্য কী শুধু অর্থমন্ত্রী দায়ী? তাকে যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেভাবে আদেশ দেওয়া হয়েছে- সেভাবে হয়েছে। আদেশ-নির্দেশ সবকিছুই তো একজায়গা থেকে হয়।”
বাজেটে সব ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ এবং ব্যাংকের আমানতের ওপর অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক আরোপের প্রস্তাবেরও সমালোচনা করেন খালেদা জিয়া।
“আওয়ামী লীগ দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধবংস করেছে, দুর্নীতি করে শেষ করে দিয়েছে। মানুষের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। মানুষ সেজন্য এই আওয়ামী লীগের হাত থেকে মুক্তি চায়, মানুষ পরিবর্তন চায়।”
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন করলে ‘কোনোদিনই ভোট সুষ্ঠু বা নিরপেক্ষ হবে না’ বলে মন্তব্য করেন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোট বর্জন করা খালেদা।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের গুণ্ডা-লাঠিয়াল বাহিনীর অত্যাচারের নমুনা আমরা অতীতে দেখেছি। পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দেখতে আমরা আমাদের মহাসচিবকে পাঠিয়েছিলাম, সেখানে উনার উপরে আক্রমণ করেছে, গাড়ি ভাংচুর করেছে আওয়ামী লীগের গুণ্ডাবাহিনী।
“তারপরও কীভাবে আপনারা আশা করতে পারেন যে আওয়ামী লীগ ও হাসিনার অধীনে ভালো নির্বাচন হতে পারে? সেটা সম্ভব নয়।”
ভালো নির্বাচন করতে একটি ‘দল নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের’ অধীনে ভোট করার দাবি আবারও তুলে ধরেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বানির্কাট, যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার অ্যালিসন ব্লেক, ভ্যাটিকেনের রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদনসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে খালেদা জিয়ার ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের আপ্যায়ন করা হয় সেমাই-জর্দা-মিষ্টি দিয়ে।
অনুষ্ঠানে খালেদার পাশে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার,মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন।
এছাড়া অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক সদরুল আমিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন খোকন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ, সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খানসহ বিএনপিপন্থি বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা এসেছিলেন এ অনুষ্ঠানে।
২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর মজিবুর রহমান, মিয়া গোলাম পারওয়ার, জাগপার রেহানা প্রধান, তাসমিয়া প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করীম, এনডিপির খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম এসেছিলেন শুভেচ্ছা বিনিময় করতে।
বিএনপির নেতাদের মধ্যে ছিলেন শাহজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, আমানউল্লাহ আমান, আবদুল মান্নান, আবদুল কাইয়ুম, তৈমুর আলম খন্দকার, ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিবউন নবী খান সোহেল, হারুনুর রশীদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আমিনুল হক, ফাওয়াজ হোসেন শুভ, নাজিমউদ্দিন আলম, মীর সরফত আলী সপু।
অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মধ্যে ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, আনোয়ার হোসাইন, নুরুল ইসলাম খান নাসিম, সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান, কাজী আবুল বাশার, আহসানউল্লাহ হাসান, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ব্যক্তিগত সচিব আবদুস সাত্তার, প্রেস উইংয়ের শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com