বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্জনগুলো প্রকাশিত হলে দেশের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে আরও উজ্জ্বল হবে। ফলে বিদেশি ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হবে।
শনিবার অনলাইনে এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার পত্রিকার উদ্যোগে আয়োজিত ‘পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র: সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের উদাহরণ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্জনগুলো প্রকাশিত হলে দেশের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে আরও উজ্জ্বল হবে। ফলে বিদেশিরা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হবে। এ পর্যন্ত ৯৮ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। মুজিব বর্ষেই গ্রিড এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘লক্ষ্য স্থির রেখে একাগ্রচিত্তে নেতৃত্ব দিতে পারলে সাফল্য আসবেই। বিদ্যুৎ খাত তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। নতুন প্রজন্মের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পায়রা প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এসব দেখে তারা বাংলাদেশ নিয়ে আরও বড় আকারে চিন্তা করবে।বাংলাদেশে ১৬টি প্রকল্পে (সরকারি-৪টি, বেসরকারি-৭টি, জয়েন্ট ভেঞ্চার-৫টি) কয়লাভিত্তিক ১৫ হাজার ৭৫২ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন।দ্রুত উন্নয়নের ফলে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিবি) এবং চায়না মেশিনারি এমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি), চায়নার যৌথ উদ্যোগে গত ১ অক্টোবর বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) গঠিত হয়।
কোম্পানিটি পটুয়াখালীর কলাতলা উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে পায়রা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প শুরু করে।অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মওলা হেলাল। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিরোজ আলম, বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক কাজী বায়েজিদ কবির ও নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার এ এম খোরশেদুল আলম।
বাংলা৭১নিউজ/এএম