বাংলা৭১নিউজ, মোঃ আব্দুল গনি, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: বিদ্যুত, জ্বালনি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, আমরা আজ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি। সর্বদিক দিয়েই দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। তাই দেশের উন্নতির সাথে সাথে আমাদের শিক্ষার গুনগত মান আরো উন্নত করতে হবে। এসব কাজে শিক্ষক সমাজকে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করতে এগিয়ে আসতে হবে।
মানুষের চারিত্রিক অবস্থা সহজে পরিবর্তন করা যায় না। কিন্তু শিক্ষকরাই পারে এই অবস্থার পরিবর্তন করতে। শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
শনিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জ গ্র্যাজুয়েট সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত জিনজিরা পীর মোহাম্মদ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে এডুকেটঁর ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, কেরানীগঞ্জে প্রতিটি স্কুলকে আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমি দেখতে চাই।শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি তাদেরকে নৈতিকতার শিক্ষাও দিতে হবে। যাদের সত্যিকারের যোগ্যতা আছে তাদের চাকুরীর অভাব হয় না। যে ভয় পায় সে হেড়ে যায়। তাকে আর জাগিয়ে তোলা যায় না। যে নেতা তার চেয়ে কর্মীদেরকে বেশি মুল্যায়ন করতে না পারে সে কখনো বড় নেতা হতে পারে না।
শিক্ষকদেরও ছাত্র-ছাত্রীদের অন্তরে ঢুকতে হবে। তাদেরকে আন্তরিকভাবে শিক্ষা দিতে হবে। কেরানীগঞ্জে গর্ব করার মতো অনেক সন্তান আছে। যারা দেশ-বিদেশে গুরুত্বপুর্ন পদে অবস্থান করছেন। দেশের জন্য স্বপ্ন দেখা ভালো। স্বপ্ন না দেখলে দেশকে এগিয়ে নেয়া যাবে না। আমি যদি ৫০হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের স্বপ্ন না দেখি তাহলে কিভাবে আমি ৩০হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করবো।
কেরানীগঞ্জ গ্র্যাজুয়েট সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ম,ই মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জগন্নাথ বিশ্ব বিদ্যালযের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, আনুবিক শক্তিকমিশনের সাবেক য়োরম্যান এমএ কাইয়ুম এফবিসিআইসির সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, যুগ্ন সচিব আলী হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভ’ইয়া, জেলা জজ আব্দুল হান্নান, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহে এলিদ মাইনুল আমিন, জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী সাকুর হোসেন সাকু,ধরিত্রি ফাউন্ডেশনের কর্নধার প্রদীপ হালদার ও সিরাজনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল হোসেন প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস