বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, আমাদের দেশীয় ফলকে বিশ্বব্যাপি তুলে ধরা উচিত। কারণ এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের তুলে ধরা সম্ভব।
তিনি বলেন, পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের আমের মওসুমে রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয়। এভাবে দেশীয় ফলের উৎসব আয়োজন ও দেশীয় ফলের প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপি তুলে ধরা হচ্ছে।
আজ বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) ফল উৎসব-২০১৭ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন।
সংগঠনের ক্যান্টিনে আয়োজিত এ ফল উৎসবকে ব্যতিক্রমী আয়োজন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশীয় ফলের এমন সমাহার ঘটিয়ে ডিআরইউ দেশের ঐতিহ্যকে জাতীয়ভাবে তুলে ধরেছে। ডিআরইউ এবারের ফল উৎসবে দেশীয় ১৮টি ফলের সমাহার ঘটিয়েছে। সংগঠনটি এই মহৎ উদ্যোগ যেন ধরে রাখে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
ডিআরইউ এবারের ফল উৎসবে দেশীয় ১৮ রকমের ফল স্থান পায়। তার মধ্যে ছিল- আম, কাঁঠাল, কলা, আনারস, পেপে, সফেদা, পেয়ারা, জাম্বুরা, ডেউয়া, লটকন, আমলকি, ডালিম, তরমুজ, আমড়া, তেলাগোটা, গাব, তেতুল ও নারকেল। ফল খেয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন রাশেদ খান মেনন।
পরে সাড়ে ১০টা থেকে ডিআরইউ সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ফল গ্রহণ করেন। এ সময় ডিআরইউ চত্বরে উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইডকল পিও ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এম গোলাম মোস্তফা। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ সহ-সভাপতি আবু দারদা যোবায়ের, সাধারণ সম্পাদক মুরাসলিন নোমানী। স্বাগত বক্তব্য দেন ফল উৎসব-২০১৭ উদযাপন কমিটির আহবায়ক নূরুল ইসলাম হাসিব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব হাবীবুর রহমান।
এ সময় সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, অর্থ সম্পাদক মানিক মুনতাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক জিলানী মিলটন, নারীবিষয়ক সম্পাদক দিনার সুলতানা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাফি কামাল, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মাহমুদ এ রিয়াত, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজান চৌধুরী, আপ্যায়ন সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, কল্যাণ সম্পাদক আজাদ হোসেন সুমন, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন সুমন, মাইনুল হাসান সোহেল ও আনিসুর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এমআর