শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩:৩১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সিলেটে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, একজনের মৃত্যু নিজেদের ট্যাংক থেকে ছোড়া গোলার আঘাতে ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংসদীয় কূটনীতি কার্যকর হাতিয়ার এআই ভিডিওর ফাঁদে ভারতের রাজনীতি কোরবানির চাহিদার চেয়ে ২২,৭৭,৯৭৩ অতিরিক্ত গবাদিপশু প্রস্তুত কক্সবাজারের আদলে সাজবে পতেঙ্গা ছিনতাই হতে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করলেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ‌‘হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ কেস খেলবা আসো, নিপুণকে ডিপজল পর্যটন খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান মন্ত্রীর গাজায় ১৫ হাজারের বেশি শিশু নিহত বিদেশি ঋণনির্ভর প্রকল্পের অগ্রগতি জানানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে পাপুলের শ্যালিকা ও দুই কর কর্মকর্তার বিরু‌দ্ধে দুদকের মামলা ‘কাক পোশাকে’ কানের লাল গালিচায় ভাবনা ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণকালে বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ আটক ৩ বুদ্ধ পূর্ণিমা ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই : ডিএমপি কমিশনার ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ লাবনীসহ গ্রেপ্তার ৭ ‘ডো‌নাল্ড লু ঘুরে যাওয়ায় বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে’ রূপপুর-মেট্রোরেলসহ ১০ প্রকল্পেই বরাদ্দ ৫২ হাজার কোটি

দূতাবাসের সহযোগিতায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেল প্রবাসীর পরিবার

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় ১৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পেল মৃত খালিদ শেখের পরিবার। গত ১০ নভেম্বর মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের তিলকগংয়ের একটি কারখানায় কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন বাগেরহাট জেলার প্রবাসী খালিদ শেখ। সে সময় সহকর্মীরা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, প্রবাসী খালিদ শেখের মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি করে মরদেহ দেশে পাঠানোর চেষ্টা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া দেশে থাকা খালিদের পরিবারের কাছে কোম্পানি অভিযোগ করে মরদেহ দেশে পাঠাতে ছাড়পত্র দিচ্ছে না দূতাবাস।

কিন্তু ওই কোম্পানি থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাড়া মরদেহ দেশে পাঠানোর অনুমতি না দিয়ে মাত্র চার দিনের মধ্যে ১৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন। নিহত খালিদ শেখের পরিবারের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি নিশ্চিত হওয়ার পরই ওই ছাড়পত্র দেয় বাংলাদেশ দূতাবাস।

দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক মালয়েশিয়ায় মৃত্যুবরণ করলে এবং তা হাইকমিশনের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে হাইকমিশন সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে থাকে। এক্ষেত্রে হাইকমিশনের পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের আত্মীয়-স্বজন হারালে যে ব্যথা অনুভব করেন, একই ব্যথায় ব্যথিত হয়ে মরদেহ পাঠানোর কাজটি করে থাকেন। ডকুমেন্টেড অথবা আনডকুমেন্টেড যেকোনো কর্মীর মৃত্যু হলে মরদেহ দেশে প্রেরণের জন্য ডেথ সার্টিফিকেট, মেডিক্যাল রিপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও কাসকেট কোম্পানি নিয়োগের প্রয়োজন হয়। ডকুমেন্টেড কর্মীর দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হলে ইন্স্যুরেন্স বাবদ ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি সময় সাপেক্ষ বিষয়।

কিন্তু হাইকমিশন যেকোনো মৃত্যুর ক্ষেত্রে কোম্পানির নিকট থেকে তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে থাকে। কোনো কোম্পানিই স্বাভাবিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে চায় না, দিতে চাইলেও সেক্ষেত্রে গড়িমসি করে। যেকোনো পরিমাণ ক্ষতিপূরণ আদায়ে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়। মরদেহ প্রেরণে এ দেশে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টার কারণে কোনো কোনো মরদেহ প্রেরণে কিছু সময় বেশি লাগে। এক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির স্বজনরা অধৈর্য হয়ে পড়েন এবং কখনো কখনো দূতাবাসকে ভুল বোঝেন।

এ সময় নিহতের পরিবারকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, স্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে আবেদন প্রাপ্তির যথাযথতা সাপেক্ষে তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে হাইকমিশনের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইস্যু করা হয়। প্রবাসীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিতে হাইকমিশন সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করতে বদ্ধপরিকর।

প্রসঙ্গত, বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট থানার চর আস্তাইল গ্রামের খলিদ শেখ ভাগ্য উন্নয়নের আশায় এক দশক আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সুখেই কাটছিল তাদের সংসার। হঠাৎ মালয়েশিয়ায় কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় খালিদ নিহত হলে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে তার পরিবার। এরপরই নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়ায় মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com