বাংলা৭১নিউজ, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে পরকীয়া সর্ম্পকের জের ধরে স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম লিপিকে হত্যার দায়ে তার স্বামী ও নিহতের ছোট বোনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
অাজ বিকালে লক্ষ্মীপুর জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. একেএম আবুল কাশেম চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-রামগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের হাবিব উল্লাহ মুন্সির ছেলে ওসমান গনি (৪৫) ও তার শ্যালিকা নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার গনিপুর গ্রামের ডা. মমিন উল্লাহর মেয়ে তাছলিমা আক্তার রুমা।
এছাড়াও ওসমান গনিকে এক লাখ টাকা ও তাছলিমা আক্তারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন আদালত।
লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র থেকে জানা যায়, রামগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের ওসমান গনির সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে তার শ্যালিকা তাছলিমা আক্তার রুমার পরকীয়া ও অনৈতিক সর্ম্পক ছিল। এর জের ধরে ২০০৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাত দুইটার দিকে ফেরদৌসী বেগম লিপিকে (৩৫) তার স্বামী ওসমান গনি ও শ্যালিকা (স্ত্রীর ছোট বোন) তাছলিমা আক্তার রুমা পরিকল্পিভাবে হত্যা করে বাড়ির পাশের পুকুরে লাশ ফেলে দেয়।
এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ২৪ আগস্ট নিহত ফেরদৌসি বেগমের বাবা ডা. মোহাম্মদ মমিন উল্লাহ বাদী হয়ে ফেরদৌসির স্বামীকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে ১৯ অক্টোবর ২০১০ সালে সিআইডি পুলিশ তদন্ত করে ওসমান গণি ও নিহতের বোন তাছলিমাকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে শ্যালিকা ও ভগ্নিপতি পরকীয়া প্রেমে জড়ানোর বিষয়টি বের হয়ে আসে।
পরে আদালত দীর্ঘ শুনানিতে ১২ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে হত্যার দায়ে ভগ্নিপতি ও শ্যালিকার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস